কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বাঙ্গুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম সরকারকে এক নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। দেবিদ্বার পৌর এলাকার ছোট আলমপুরে এ ঘটনা ঘটে। স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য তাকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
সেলিম সরকার উপজেলার কাশারীখোলা গ্রামের মৃত সোবহান মাঝির ছেলে এবং উপজেলা কৃষকলীগ নেতা। এদিকে বুধবার এ ঘটনা বাঙ্গুরী গ্রামে জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা তাকে স্কুলের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেন।
বাঙ্গুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, গত রবিবার রাতে প্রধান শিক্ষক সেলিম সরকার মোবাইল ফোনে জানান, ছোটআলমপুর এলাকায় তার এক খালাত বোনের সাথে দেখে কয়েকজন লোক তাকে আটক করে। কিছু টাকা নিয়ে এসে যেন তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাই।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মুমিনুল হক কামরুল বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও আমি মিটিং ডেকেছি, বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে স্কুলে যেতে নিষেধ করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম সরকার বলেন, এটি একটি চক্রান্ত। ম্যানেজিং কমিটির সবাই আমাকে স্কুল থেকে সরানোর অপচেষ্টা করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোকবল হোসেন মুকুল বলেন, প্রধান শিক্ষক সেলিম সরকারকে নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরার ঘটনাটি সত্য। তাকে জিজ্ঞাসা করায়ও তিনিও বিষয়টি ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন। স্কুলের সভাপতি ও আমি তাকে আপাতত স্কুলে যেতে নিষেধ করেছি। এরপরও তিনি নিষেধ অমান্য করে স্কুলে যাওয়ায় এলাকার লোকজন ও ছাত্রছাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, অভিযুক্ত ওই শিক্ষক অবরুদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় কোন পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।