একজন বিচারপতি ও তার পরিবারের সদস্যদের না জানিয়েই কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজ থেকে তাদের সরিয়ে অপর এক কর্মকর্তাকে বরাদ্দ দেয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে জারি করা অবমাননার রুলের বিষয়ে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দিন ধার্য করেছেন। পাশাপাশি আদালত তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তিন সরকারি কর্মকর্তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে শাহ মঞ্জুরুল হক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, হাইকোর্টের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন পরিবারসহ এক সফরে গত ২৯ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের ইটনায় যান। তিনি কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে ওঠেন। ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে তাদের সার্কিট হাউজ ছেড়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই তার জন্য বরাদ্দ দেয়া একটি কক্ষ খালি করে সেখানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সারওয়ার মোর্শেদ চৌধুরীকে বরাদ্দ দেয়া হয়। এ কারণে বিচারপতির জিনিসপত্র সরিয়ে অন্য কক্ষে রাখা হয়।
এসময় বিচারপতি ও তার পরিবারের কেউই সেখানে ছিলেন না। তারা কক্ষে ফিরে দেখেন একটিতে তাদের মালামাল নেই। সেখানে অন্যলোক (সারওয়ার মোর্শেদ চৌধুরী) অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় বিচারপতি ঢাকায় ফিরে ১ নভেম্বর তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন।
এছাড়া কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম এবং এনডিসি মাহমুদুল হাসানকে তলব করেন। তাদের ১২ নভেম্বর হাইকোর্টে হাজির হয়ে এবিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত অবমাননার দায়ে কেন সারওয়ার মোর্শেদ চৌধুরী, শেখ রফিকুল ইসলাম এবং মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়।
এই নির্দেশে দুই কর্মকর্তা শেখ রফিকুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালত তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। তবে আদালত অবমাননার রুলের জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য রয়েছে।