পিরোজপুরের নাজিরপুরের বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৩) নিজের বাল্য বিয়ে ঠেকিয়েছে। ওই স্কুল ছাত্রী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাতিলাখালী গ্রামের এক দিন মজুরের কন্যা। সোমবার ওই স্কুল ছাত্রীর বিয়ের তারিখ ধার্য্য ছিলো। কিন্তু ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় নিজের বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছে ওই ছাত্রী।
প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার হালদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, গত রোববার সকালে ওই স্কুলছাত্রী তার বিয়ে ঠেকাতে আমার কাছে আসলে আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) জানাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ আল সাদীদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ের জন্য তার বাবা দিন তারিখ ধার্য করেন এবং গত রোববার বিয়ের মেহমানদের জন্য বাজার করেন। বিষয়টি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে জানতে পেয়ে ওই ছাত্রীর বাবাকে ডেকে আনি। পরে তিনি তার মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দেন।
স্কুলছাত্রী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, সে লেখাপড়া করে সাবলম্বী হতে চাই। কিন্তু পরিবার তার আগেই তাকে বিয়ে দিতে চায়। সে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেতে তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে তার বিয়ের বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছিলাম।