নিটের প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে এ বার জড়িয়ে গেল এক সাংবাদিকের নাম। শনিবার তাঁকে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ থেকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এই কেলেঙ্কারিতে তদন্তভার নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এই নিয়ে গ্রেফতার হলেন ছ’জন। নিটকাণ্ডে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল ৩২।
সিবিআই সূত্রে খবর, ওই সাংবাদিকের নাম জামালউদ্দিন। তিনি একটি হিন্দি দৈনিকে কাজ করতেন। সূত্রের খবর, হাজারিবাগের ওয়েসিস স্কুল থেকে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় যে দুই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল এই সাংবাদিকের। বিহার, ঝাড়খণ্ড ছাড়াও গুজরাতে তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। সূত্রের খবর, গোধরা, খেড়া, আনন্দ এবং আমদাবাদ-সহ গুজরাতের সাত জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
শুক্রবারই হাজারিবাগের ওয়েসিস স্কুলের প্রিন্সিপাল এশানুল হক, তাঁর সহযোগী ইমতিয়াজ় আলম এবং আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিট পরীক্ষার জন্য হাজারিবাগের ‘ডিস্ট্রিক্ট কোঅর্ডিনেটর’ ছিলেন এশানুল। ইমতিয়াজ় ছিলেন পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা এনটিএ নিযুক্ত পর্যবেক্ষক। সিবিআই সূত্রে খবর, ওয়েসিস স্কুল থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল।
সূত্রের খবর, এশানুল যদিও নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেছেন। পাশাপাশি, প্রশ্নফাঁসের জন্য এক ক্যুরিয়ার সংস্থার বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন। ঘটনাচক্রে, সেই ক্যুরিয়ার সংস্থাই উত্তর-পূর্ব ছোটনাগপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে পরীক্ষার আগে পৌঁছে দিয়েছিল নিটের প্রশ্নপত্র।সূত্রের খবর, সিসিটিভি ফুটেজ দেখা এবং ব্যাঙ্ককর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। পটনা পুলিশ যে ১৩ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে, তাঁদেরও জেরা করছে সিবিআই।