নীলফামারীর জলঢাকায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে সংযুক্তিকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনের অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গত বুধবার অভিযুক্ত শিক্ষিকার বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোশফেকুর রহমান।
জানা গেছে, গত ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ১২ অক্টোবর উপজেলার পূর্ব শিমুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সংযুক্তি বদলি নিয়ে কাঁঠালী ইউনিয়নের দক্ষিণ দেশিবাই রহমানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন সহকারী শিক্ষিকা মাহমুদা খাতুন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতের ভারসাম্যাহীনতা হ্রাস, শ্রেণি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পদায়নে সারাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সব শিক্ষকের সংযুক্তি আদেশ বাতিল করে গত ৮ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি আদেশ জারি করা হয়। গত ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সংযুক্তিকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মূল কর্মস্থলে যোগদান করার নির্দেশ দেয়া হয় ওই আদেশে।
জলঢাকা উপজেলায় ৪ জন সংযুক্তিকৃত শিক্ষকের মধ্যে ৩ জন মূল কর্মস্থলে যোগদান করলেও মূল কর্মস্থলে যোগদান করেননি সহকারী শিক্ষিকা মাহমুদা খাতুন। তবে তথ্য গোপন করে অধিদপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে প্রায় দুই মাস সংযুক্তিকৃত স্কুলে কর্মরত থাকলেও ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোশফেকুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তথ্য গোপন করে একজন শিক্ষককে সংযুক্তি বদলিকৃত কর্মস্থলে রাখায় প্রধান শিক্ষককে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওই শিক্ষিকার বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। নোটিশের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, নির্দেশ অমান্য করায় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।