ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র’ রক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। বুধবার সকালে ঢাবির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
আজ সকাল ১০টার দিকে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আয়োজিত এই কর্মসূচি থেকে নির্বাচন বর্জনের ডাক দেওয়া হয়। পরে একটি মিছিল বের করা হয়, যা শাহবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার এই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। এই সরকার বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা, নির্বাচনব্যবস্থা ও শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসের একমাত্র নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মিথ্যা মামলায় আদালতে বিচারিক হয়রানি করে সাজা দিয়েছে। আমরা তাঁর প্রতি সংহতি জানাই।’
তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই সরকার ছাত্রলীগকে দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দখলদারি কায়েম করেছে। এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর এই ছাত্রলীগকে বাংলাদেশের মানুষ মীরজাফরের মতো ঘৃণাভরে স্মরণ করবে ৷ জনগণ এই বাকশালি সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ২০২৪ সালেই সরকারের পতন হবে ইনশা আল্লাহ।’
দলের সাধারণ সম্পাদক ও ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘এই সরকার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে একদলীয় শাসনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। দেশের সব বিরোধী দল ও জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ আধুনিক বাকশাল কায়েম করে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকিতে ফেলে ভারতের স্বার্থ বাস্তবায়ন করছে।’
ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘৭ তারিখের নির্বাচন দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের নির্বাচন। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে ৩ হাজারের অধিক বিচারবহির্ভূত হত্যা, সাত শর অধিক গুম, ৫০ লাখের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে পুরো বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। আমরা ছাত্র অধিকার পরিষদ জীবন দিয়ে হলেও দেশ ও জনগণের জন্য সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব।’
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সাব্বির হোসাইন, নাহিদ উদ্দিন তারেক, নেওয়াজ খান বাপ্পি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, জোবায়রুল আলম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, অর্থ সম্পাদক প্রিয়ম আহমেদ, প্রচার সম্পাদক মো. আবু রায়হান সোহান, বিজ্ঞান সম্পাদক আখতারুজ্জামান সম্রাট, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আসাদ বিন রনি, উত্তরের সভাপতি আবির ইসলাম সবুজ, তিতুমীর কলেজ সভাপতি আফতাব মাহমুদ, ঢাকা কলেজ সভাপতি কামাল হোসেন সুমন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল করিম সোহাগসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।