আগামী সংসদ নির্বাচনে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করে নড়াইলে প্রচার চালানোর খবর প্রকাশের পর মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব খাজা মিয়াকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপণে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
গত ৩০ জুন খাজা মিয়া তার নিজ এলাকা নড়াইল-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। এজন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করে এলাকায় বেশ কয়েকটি পথসভা ও উঠান বৈঠকও করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয়।
সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫(১) ধারায় (রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ) বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা রাজনৈতিক দলের কোনো অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে অথবা অন্য কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশ বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বা কোনো প্রকারের সহায়তা করতে পারবেন না।
খাজা মিয়ার চাকরির মেয়াদ আছে আরও এক বছর। এ হিসেবে খাজা মিয়ার নির্বাচনে প্রার্থীতার ঘোষণা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা পরিপন্থি।
অন্যদিকে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২-এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসর গমন করেছেন এবং উক্ত পদত্যাগ বা অবসর গমনের পর তিন বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে। অর্থাৎ অবসর বা পদত্যাগের পর তিন বছর শেষ না হলে কোনো সরকারি চাকরিজীবী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
১০ম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার হিসেবে খাজা মিয়া ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি এরআগে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান এবং তথ্য সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বাসা) নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব।