গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি কারখানার ভবনের নির্মাণাধীন ছাদ ধসে দুই শ্রমিক মারা গেছে। আরও কয়েকজন হতাহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায় শ্রীপুর পৌর এলাকার দক্ষিণ ভাংনাহাটি গ্রামের ছাপিলাপাড়া এলাকার হ্যামস্ গার্মেন্টস লিমিটেডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আরিফুল ইসলাম (২১) লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানার কাশিরাম গ্রামের মো. কান্দুরার ছেলে। সে ওই কারখানার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ছিলেন। নিহত অপরজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শিহাব খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, শ্রীপুরের দক্ষিণ ভাংনাহাটি গ্রামের ছাপিলাপাড়া গ্রামের হ্যামস্ গার্মেন্টস্ লিমিটেডের একটি ভবনের ঢালাইয়ের কাজ চলছিলো। বিকেল চারটার দিকে ঢালাইয়ের কাজ চলা অবস্থায় হঠাৎ নির্মাণাধীন ভবনটি ধসে পড়ে। এর নিচে চাপা পড়েন ঢালাই কাজে থাকা নির্মাণ শ্রমিকরা।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপপরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল আরেফিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বুধবার বিকেলে হ্যামস্ গার্মেন্টেসের ছাদ ঢালাই করার সময় নির্মাণাধীন ভবনটি ধসের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত আরিফুলসহ দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মামুন একজন গুরুতর আহত হয়েছে।
উদ্ধার কাজ করছে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কারখানার নির্মাণ ঠিকাদারের দায়িত্বে ছিলেন সারা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন লিমিটেড। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী শফিক মোল্লা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ভবন নির্মাণের সময় ৭৩ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। কতো নিখোঁজ আছে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। হতাহতের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।অনেক নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের খোঁজে তাদের স্বজনরা কারখানার ফটকে ভিড় করছেন। ধসে পরা নির্মাণাধীন ভবনের কাজ করছিলেন মুকুল চন্দ্র বর্মন। তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে শ্রী ভক্ত চন্দ্র বর্মন। শ্রী ভক্ত চন্দ্র জানান, নির্মাণাধীন ভবনটি ধসে পড়ার পরপরই তার বাবার সাথে থাকা বাকী শ্রমিকরা জানিয়েছে তার বাবা নিখোঁজ রয়েছেন। সাড়ে সাতটা পর্যন্ত তার বাবার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে সে জানায়।