মিসৌরিতে গুলি করে এক বাংলাদেশি ছাত্র হত্যার ঘটনায় গভীর সমবেদনা প্রকাশ করে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শোকের কালো ব্যাচ পোস্টে করে এ কথা লিখেছে তারা।
মিসৌরির সেন্ট লুইস শহরের হ্যাম্পটন অ্যাভিনিউয়ের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে একটি গ্যাস স্টেশনে গুলি করে হত্যা করা হয় রমিম উদ্দিন আহম্মেদকে। ২২ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি মিরসরাই উপজেলার ভালুকিয়া গ্রামে। রমিম মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুদ্দিন আহমেদের ছেলে।
পুলিশ বলছে, ওই গ্যাস স্টেশনে কাজ করতেন রমিম। বুধবার সকালে গ্যাস স্টেশনের বাইরে তার গাড়ির কাচ ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে একদল সন্ত্রাসী।
এসময় তিনি তাদের বাধা দিলে তারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে পুলিশ এসে রমিমকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জ্যাটাভিয়ন স্কট নামের ১৯ বছরের এক তরুণকে খুঁজছে পুলিশ।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের ২২ বছর বয়সী ছাত্রের পরিবারের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাতে চাই, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইতে একটি আপাত ডাকাতির ঘটনায় মর্মান্তিক ভাবে নিহত হয়েছেন।’
‘আমরা আশা করি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্বারা এই বুদ্ধিহীন অপরাধের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীরা বিচারের আওতায় আনবে।’