নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নবায়ন না করেও ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। এর দূষিত ধোঁয়ায় অ্যালার্জি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা।
সম্প্রতি সরেজমিনে ওই ইটভাটা ও এর আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের আতুরের ঘর এলাকায় কাঁঠালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই গড়ে উঠেছে পলাশ ব্রিকস নামের ইটভাটাটি।
প্রায় এক যুগ আগে গড়ে ওঠা এ ভাটায় ইট পোড়ানোর জন্য সেখানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে কাঠ। সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, স্তূপ করে রাখা কাঠের বেশির ভাগই সংগ্রহ করা হচ্ছে আশপাশের বনাঞ্চল থেকে।
ভাটায় কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানোর কথা থাকলেও সাশ্রয়ী হওয়ায় কাঠ ব্যবহার করে মালিকপক্ষ। এর পাশেই বিদ্যালয়ে পাঠদান চলছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসমঞ্জু প্রসাদ রায় চৌধুরী বলেন, বিদ্যালয়ের গা ঘেঁষে ইটভাটা গড়ে ওঠায় এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নানা রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। বিদ্যালয়ের গাছপালার পাতা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
তা ছাড়া, পাশ দিয়ে গাড়িতে ভাটার মাটি আনা-নেওয়া করায় স্কুলঘর, গাছপালা সব ধুলাবালিতে আচ্ছন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝেমধ্যে লোক-দেখানো অভিযান চালিয়ে সামান্য জরিমানা করেই দায়িত্ব শেষ করে।
তবে পলাশ ব্রিকসের মালিক রকিব আলীর দাবি, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়েই ভাটার কার্যক্রম চলছে।
মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মাঈদুল ইসলাম বলেন, ইট পোড়াতে জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করা যাবে না। এ ধরনের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত উদ্দিন বলেন, বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।