ময়মনসিংহের ফুলাবড়ীয়ায় উপজেলার কুশমাইল ইউনিয়নের ১৩ নং কুশমাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মুর্শিদা খাতুন নিয়মিত স্কুলে আসেন না। স্কুল সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সপ্তাহে একদিন স্কুলে এসে গড়হাজিরা দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করেন তিনি। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা এ নিয়ে কথা বললে তিনি স্থানীয় ‘এমপির আত্মীয়’ পরিচয় দিয়ে হুমকি দেন।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক কাউকে ভ্রুক্ষেপ করেন না। নিয়মিত ক্লাস না হওয়ায় শিক্ষার্থী কমছেই।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টা বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রধান শিক্ষিকা নেই। জানা গেলো, তিনি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই বিদ্যালয় থেকে চলে গেছেন।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষিকা মুর্শিদা খাতুন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ বিল দিতে ও সুতলি কেনার জন্য তিনি উপজেলা সদরে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়ে দপ্তরি থাকার পরও তার কেনো এসব করতে হয় জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন তিনি।
এর আধা ঘণ্টা পর বিদ্যালয়ে এসে হাজির প্রধান শিক্ষিকা মুর্শিদা খাতুন। প্রতিবেদককে দেখে ক্ষেপে যান তিনি। বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের কোনো কাজ নেই। সাংবাদিকরা যাবেন স্কুল কলেজে। তখন তিনি সহকর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন। বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বিদ্যালয়ের কক্ষে প্রবেশ করান। বলতে থাকেন, ‘এখন থেকে স্কুল নিয়ম মাফিক চলবে’।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, একটু কিছু বলতে গেলে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে বড় আপা। প্রধান শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে না আসায় লেখাপড়ার মান ভালো না। ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহী দিলশাদ এলীন বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সহকারী শিক্ষা অফিসার ফারহানাজ পাঠানকে ওই প্রধান শিক্ষিকাকে শোকজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।