দৈনিক শিক্ষাডটকম, গোপালগঞ্জ: স্কুলের জনবল নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে তালা ঝুলতে দেখেন চাকরিপ্রার্থীরা। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন পরীক্ষা হবে না। কিন্তু, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন নোটিশ বা প্রার্থীদের বিষয়টি আগে জানান নি। তাই বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিদ্যালয় আঙিনায় অপেক্ষার পর হতাশ হয়ে ফিরে যান তারা।
শুক্রবার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের কুমারিয়া লক্ষ্মীপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
চাকরিপ্রার্থীরা জানান, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর ওই বিদ্যালয়ের চারটি শূন্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে অফিস সহায়ক, নৈশপ্রহরী,পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া পদে ৩৫ জনচাকরি প্রার্থী আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের ডাকযোগে চিঠি পাঠানো হয়। ২৪ মে শুক্রবার সকাল ১০টায় পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়।
চাকরিপ্রার্থী শান্তনা সরকার বলেন, ‘আমি আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে আবেদন করেছি। ডাকযোগে চিঠির মাধ্যমে পরীক্ষার জন্য শুক্রবার আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি স্কুলে এসে দেখি অফিস কক্ষে তালা দেয়া। আমার মতো আরও অনেকে এসে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। আমাদের সাথে অবিচার করা হচ্ছে।’
চাকরিপ্রার্থী রিতা রানী মালাকারের স্বামী সুমন কুমার দাস বলেন, ‘বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুবোধ কুমার দাসের পুত্রবধূ ও সদস্যদের মনোনীত প্রার্থী আগেই নির্ধারণ করা। শুধু লোক দেখানো নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হবে। যে কারণে এ ধরণের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কাউকে না জানিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছে।’
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ইমরান সরদার বলেন,‘আমাকে মৌখিকভাবে স্কুলের দপ্তরি জানিয়েছিলেন আজ (শুক্রবার) নিয়োগ পরীক্ষা হবে। আমি ১০টার সময় স্কুলে এসে দেখি লোকজন জড়ো। স্কুলের অফিস কক্ষে তালা দেওয়া। দরজায় কোনো নোটিশও টাঙানো নেই। প্রধান শিক্ষকও আমাকে কিছু জানাননি।’
এ বিষয় বিদ্যালয়ের সভাপতি সুবোধ কুমার দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার বলেন, ‘সভাপতির অসুস্থতার কারণে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। দপ্তরির মাধ্যমে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নোটিশ কক্ষের ভেতরেটাঙানো আছে। তবে ম্যানেজিং কমিটির যারা, তাদের মনে কি আছে আমি জানি না।’
কাশিয়ানী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজা বেগমের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।