মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতি সমস্যার সমাধান করে গুণগতমান সম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। রিটে গ্রাহকদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইন্টারনেটের গতি সেবা দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, ল, রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য সাংবাদিক মেহেদী হাসান ডালিম এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো : রাশিদুল হাসানের পক্ষে ইশরাত হাসান এ রিটটি দায়ের করেন।
তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসি,র চেয়ারম্যান গ্রামীণ ফোনসহ মোবাইল কোম্পানীগুলোর প্রধান নির্বাহীকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীর গতির কারণে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা মারাত্নক ভোগান্তিতে আছেন। গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেয়া হয় সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রত বৃদ্ধি পেলেও মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলো সে অনুযায়ী সেবা প্রদান করেনি যার ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
২০২০ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিজিটাল সেবার মান নিশ্চিতকরণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তালিকায় শেষের দিকে।
রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, দেশের ইন্টারনেট গতি এতটাই দূর্বল যে, দেশের অনেক জায়গায় মানুষ ইন্টারনেটের সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের যে টাকা দিয়ে নেট কেনা হয় তার মেয়াদ শেষ হলে ব্যাবহার করা যায় না। অথচ, নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবহার করতে না পারার অন্যতম কারন হলো ধীরগতি।
বছরে সাড়ে ৫ লক্ষ অভিযোগ জমা হয় বিআরটিসিতে, কিন্তু গ্রাহকরা এখনো ভোগান্তির শিকার।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীর গতি সমস্যার সমাধান করে গুণগতমান সম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।