জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়নৈতিক স্খলন : শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়নি ৪০ দিনেও

জাবি প্রতিনিধি |

নৈতিক স্খলনের দায়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক মাহমুদুর রহমান ওরফে জনির বিরুদ্ধে ৪০ দিন পার হলেও তদন্ত কাজ শুরু করতে পারেনিস্ট্রাকচার্ড কমিটি । বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে স্ট্রাকচার্ড কমিটি করা হয়। এই কমিটির কাজ মূলত আগের কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আবারও তদন্ত করে সিন্ডিকেটে সুপারিশ করা।

গত বছরের ২১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান ও একই বিভাগের এক নারী প্রভাষকের

অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস হয়। একই সঙ্গে বিভাগের শিক্ষক পদে আবেদনকারী এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে ২৭টি অন্তর‌ঙ্গ কথোপকথন প্রকাশিত হয়। যেখানে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ওই শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর তথ্য উঠে আসে।

এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে নৈতিক স্খলন ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ‘সত্যাসত্য যাচাই’ কমিটি গঠিত হয়। এ সময় ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এর মধ্যে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে দায়মুক্তিপত্র লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেয়। পরে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে ১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেয় ইউজিসি।

এরপর ১৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় ‘সত্যাসত্য যাচাই’ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। ওই প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ হয়নি বলে জানায় সিন্ডিকেট। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট ‘স্পষ্টীকরণ’ কমিটি করে। ওই কমিটির প্রতিবেদনে শিক্ষক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় ছয় সদস্যের স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন উপাচার্য নিজেই। সদস্যসচিব ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু হাসান। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নুহু আলম, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সভাপতি মাহফুজা মোবারক এবং সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ-উল আলম। কমিটিতে থাকার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবেই জানানো হয়নি অনেককে।

স্ট্রাকচার্ড কমিটির সদস্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো সভা হয়নি। কবে বসা যায় তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতার দাবি - dainik shiksha পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতার দাবি শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না - dainik shiksha শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে - dainik shiksha ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে ‘রাজাকার’ স্লোগানের ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ - dainik shiksha ‘রাজাকার’ স্লোগানের ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ উচ্চশিক্ষায় ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ - dainik shiksha উচ্চশিক্ষায় ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে - dainik shiksha ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032188892364502