রফিকুল ইসলাম রবি মাঝি শারীরিক প্রতিবন্ধী। বাম পায়ে সমস্যা। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারেন না। এজন্য বর্গা নিয়ে একটি গরু লালন পালন করেন। চলাফেরায় সমস্যা হওয়ায় নৌকায় করে ঘাস কেটে গরুকে খাওয়ান। গত ২৬ অক্টোবর দুপুরে সুগন্ধা নদীর তীরে বাঁধা তার নৌকাটি মা ইলিশ নিধনবিরোধী আভিযানে জব্দ করা হয়।
গত ৩১ অক্টোবর দৈনিক আমাদের বার্তায় ‘মাঠ সহায়কের মদদে ইলিশ নিধন!’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। সে সময় ঝালকাঠীর নলছিটি উপজেলা মৎস্য অফিসের দেশীয় শামুক ও ঝিনুক রক্ষা প্রকল্পের মাঠ সহায়ক আরিফ সিকদার নৌকাপ্রতি প্রতিদিন ২ হাজার টাকা ও ৫ কেজি ইলিশ নিয়ে জেলেদের মাছ শিকারে নামিয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। চুক্তিমতো টাকা ও মাছ না পেলে ঘরের ঘাটে বেঁধে রাখা নৌকাও তিনি নিয়ে যান বলে জানান জেলেরা। নৌকায় মাছ ধরা না পড়লেও টাকা দিতে হতো আরিফ শিকদারকে। সে সময় তিনি চরে ঘাস কাটতে গিয়ে নদীর তীরে বেঁধে রাখা প্রতিবন্ধী রবির নৌকা নিয়ে যান।
৯ দিন পরে নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হলে রবির নৌকাটি ফেরত দেয়া হয়।
দৈনিক আমাদের বার্তাকে রবি জানান, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে খুবই কষ্টে সংসার চালাই। নৌকায় ঘাস কেটে গরুকে খাওয়াতে হয়। সেদিন নৌকাটি তীরে থাকলেও জেলেদের নৌকা ভেবে আমারটাও নিয়ে গেলে বিপদে পড়ি। দৈনিক আমাদের বার্তায় সংবাদ প্রকাশের পর আমার নৌকা ফেরত পেয়েছি।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, সাংবাদিকদের মানবিক অনুরোধে তার নৌকা ফেরত দেয়া হয়েছে।
তবে মাছ শিকারি না হলেও তার নৌকা কেনো আটক করা হয়েছিলো সে বিষয়ে মৎস্য বিভাগের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, প্রজনন মৌসুমের কারণে গত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর টানা ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ছিলো।