জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা ও টাকা নেয়ার অভিযোগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ আদেশ পরিপালনে ব্যর্থ হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) সরকার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল হাই স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সতর্কতা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নিটোর ঢাকাতে ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসায় অবহেলা ও দেরি করা হচ্ছে। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় (অপারেশন থিয়েটারে সঠিক সময়ে আনা নেওয়া, অপারেশন করা ও আহতদের ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে) অনাকাঙ্ক্ষিত দেরি করা হচ্ছে। এমনকি সরকার আহতদের সমস্ত ব্যয় বহন করবেন মর্মে ঘোষণা দেওয়া সত্ত্বেও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার (যেমন হাতে বা পায়ে রড লাগানো, রক্ত সরবরাহ, ক্ষতস্থানে ড্রেসিং ইত্যাদি) ক্ষেত্রে বিভিন্ন অজুহাতে আহতদের চিকিৎসা সেবার বিপরীতে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আবশ্যিকভাবে বিরত থাকতে হবে।
হাসপাতাল পরিচালক বরাবর পাঠানো এ চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি (রিপ্রেজেন্টেটিভ) বা ডিলার কোনোভাবেই হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রত্যেক চিকিৎসককে রোগী দেখার সময়সূচি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। এছাড়া সাক্ষাতের সময়সূচি ছাড়া কোনো দর্শনার্থী হাসপাতালের ভেতরে এবং রোগীর কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এতে উল্লেখ আরও করা হয়েছে, বিষয়টি অতীব জরুরি। এ আদেশ পরিপালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে উপরোক্ত নির্দেশনা জারি করা হলো।