পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক শিক্ষকের কাছে চাঁদা দাবি ও জোর করে পদত্যাগপত্রে সই নেয়ার অভিযোগে মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হোসেন মৃধাসহ ৫ জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। উপজেলার মজিদবাড়িয়া হোসাইনিয়া দাখিল মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে গত বুধবার বিকেলে এ মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. মজনু মৃধা, মো. দুলাল মৃধা, মো. আব্দুল করিম ও মো. মাসুদ।
আদালতের বিচারক স্বপন কুমার দাস মামলাটি আমলে নিয়ে মির্জাগঞ্জ থানাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী চিত্তরঞ্জন দাস।
মজিদবাড়িয়া হোসাইনিয়া দাখিল মাদরাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান কিংবা অন্য কেউ কোনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কিছু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৭ আগস্ট অভিযুক্তরা মজিদবাড়িয়া হোসাইনিয়া দাখিল মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মো. হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে জোর করে একটি পদত্যাগপত্রে সই নেন। এ ঘটনায় হাবিবুর মির্জাগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পদত্যাগ কার্যকর না হওয়ায় তিনি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। পরে ১৮ আগস্ট বিএনপি নেতা মো. মোজাম্মেল হোসেন মৃধা ও তাঁর লোকজন মাদরাসায় গিয়ে হাবিবুর রহমানের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান।
চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা মো. মোজাম্মেল হোসেন মৃধা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। আমি কারও কাছে কোনো চাঁদা দাবি করিনি।’ পদত্যাগপত্রে সই নেয়ার বিষয়ে বলেন, ‘মাওলানা হাবিবুর রহমানের পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষরের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’