পদত্যাগের নামে হেনস্তার প্রতিবাদ, ঘাটাইলে শিক্ষককে স্বপদে বহাল দাবি

দৈনিক শিক্ষাডটকম, রাবি |

পদত্যাগের নাম শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলা ও হেনস্তা করাসহ জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে। এছাড়া ঘাটাইলে কলেজ শিক্ষককে স্বপদে বহালের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। 

প্রতিনিধিরা জানান : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বাদশাগঞ্জ বাজারে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে বাদশাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম, আজহারুল ইসলাম দীপ্ত, ওলিউজ্জামান সুমন, মোল্লা মাহমুদ হাসান, রিফাত হাসান জনি, আইমান প্রমুখ। পটুয়াখালীর দশমিনায় বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দশমিনা সরকারি আবদুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে ওই বিক্ষোভ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে মো. শরীফ হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষা নেই। অথচ শিক্ষকদের সঙ্গে যা হচ্ছে তা আমরা মেনে নিতে পারছি না। দিনাজপুরে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক সমাজ।

বৃহস্পতিবার দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন করে দিনাজপুর জেলা শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোট। এ সময় শিক্ষকরা বলেন, কোন শিক্ষক যদি দোষ করে থাকে তাহলে নিয়মানুযায়ী তাকে অপসারণ করা হোক। কিছু কুচক্রি মহল শিক্ষার্থীদের দ্বারা এসব কর্মকাণ্ড করাচ্ছে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, দিনাজপুর জেলা শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের সভাপতি অধ্যাপক মঞ্জুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পদক আব্দুর রহিম, দিনাজপুর জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, মাদরাসা শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান প্রমুখ।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সাগরদিঘী কলেজের শিক্ষক আবুল কাশেম সিকদারকে স্বপদে বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছে অভিভাবক ও ছাত্ররা। সাগরদিঘী বাজার চৌরাস্তায় বৃহস্পতিবার এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী শিক্ষক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, আমি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কলেজের জীববিজ্ঞান প্রভাষক পদে কর্মরত ছিলাম। কিন্তু অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন ও তৎকালিন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হেকমত সিকদার যোগসাজশ করে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমার স্থলে মাজাহারুল ইসলাম নামে অপর একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, তার অভিযোগ সত্য নয়, উনি এখানে প্রথম প্রদর্শক হিসাবে যোগদান করেন ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে। নন এমপিও থাকায় তিনি ফুলবাড়িয়া একটি কলেজে চলে যান। পরে এমপিওভুক্তির সময় বৈধভাবে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস - dainik shiksha যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক - dainik shiksha মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক - dainik shiksha ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের নতুন পদক্ষেপ - dainik shiksha শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের নতুন পদক্ষেপ প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050570964813232