পদোন্নতির দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা। তারা আজকের মধ্যে পদোন্নতি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. মাসুদুল হাসানের কক্ষের সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে অফিস সহায়ক থেকে অফিস সহকারী, অফিস সহকারী থেকে ব্যক্তিগত/প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং ব্যক্তিগত প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে সহকারী সচিব (নন ক্যাডার) পদে পদোন্নতির দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। পদোন্নতির যোগ্য হলেও নানা কারণ দেখিয়ে তা বাস্তবায়ন করছে না জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীরা অনেকদিন ধরেই পদোন্নতি বঞ্চিত। বারবার আবেদন-নিবেদন করেও কোন সাড়া মেলেনি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কখনো বলছেন গ্রেডেশন তালিকার সমস্যা, কখনো বলছেন বিধির সমস্যা। আমরা চাই পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দ্রুত পদোন্নতি নিশ্চিত করা হোক।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা) দপ্তরে কাজ করা অফিস সহায়ক মো. আলম বলেন, আমি একই পদে ২০ বছর ধরে আছি। বিনা কারণে আমাদেরকে পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে আমাদের পদে নিয়মিত পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এসব পদোন্নতি কমিটিতে থাকেন। কিন্তু আমাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আজকের মধ্যে পদোন্নতি দেওয়া না হলে আমরা কর্মবিরতিতে যাব।
পদোন্নতি নিয়ে যুগ্মসচিব (প্রশাসন) রিপন চাকমা টালবাহানা করেছেন এবং এজন্য তারা তার প্রতি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উপস্থিত কর্মচারীরা। রিপন চাকমা 'ভুয়া' 'ভুয়া' বলেও স্লোগান দেন তারা।
অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জানান, আমরা যেটা করেছি সেটা বিধিগতভাবে সঠিক। পদোন্নতি পদের আগে ফিডার পদ একটি থাকলে তখন পদোন্নতি হয় মেধার ভিত্তিতে। আর ফিডার পদ একাধিক হলে পদোন্নতি হয় সম্মিলিত জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে। কিন্তু তারা সম্মিলিত জেষ্ঠতায় রাজি হয় না। নিয়ম অনুযায়ী যেটা করার সেটা আমরা করে দেব।
পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবিতে অনড় থেকে কর্মচারীরা হৈচৈ করতে থাকলে এক পর্যায়ে উপসচিব (প্রশাসন-১) আলাউদ্দিন আলী অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের বলেন, আমরা পদোন্নতি দিতে প্রক্রিয়া করছি। আজকের মধ্যেই প্রস্তাব সরকারি কর্ম-কমিশনে পাঠানো হবে।
এরপরও কর্মচারীরা অতিরিক্ত সচিবের কক্ষের সামনে অবস্থান করছিলেন।