সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক ও প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে পদোন্নতি না দিলে সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করবেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকরা।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী ও মহাসচিব মো. শওকত হোসেন মোল্যাসহ সমিতির নেতারা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই আল্টিমেটাম দিয়েছেন। পদোন্নতির দাবিতে একটি স্মারকলিপি শিক্ষাসচিবের হাতে তুলে দেন তারা। যদিও মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। শিক্ষামন্ত্রীর সায় ছাড়া পদোন্নতি ও পদায়ন হয় না।
সচিবের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে সমিতির নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য শিক্ষা ক্যাডার সৃষ্টি হলেও দীর্ঘ সময়েও শিক্ষা ক্যাডারকে বিশেষায়িত পেশা হিসেবে গড়ে তোলা হয়নি। এই ক্যাডারদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে অধিকারবঞ্চিত করা হয়েছে। গত জানুয়ারিতে আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরেছি। কিন্তু ৮ মাসেও এসব বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। পদোন্নতির সকল যোগ্যতা অর্জিত হওয়া সত্ত্বেও সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ে প্রায় ৩০০০ জন এবং প্রভাষক পর্যায়ে প্রায় ২৫০০ জন কর্মকর্তা পদোন্নতির অপেক্ষায় আছেন। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পদোন্নতি প্রক্রিয়া চালু হলেও অজ্ঞাত কারণে তা বন্ধ রাখা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে শিক্ষা ক্যাডারের ১৬ হাজার কর্মকর্তা ক্ষোভে ফুঁসছেন।’
মহাসচিব মো. শওকত হোসেন মোল্যা বলেন, ‘আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে পদোন্নতি যোগ্য সকল কর্মকর্তার পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যতয় হলে ৮ সেপ্টেম্বর সমিতির সাধারণ সভা থেকে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘পদোন্নতি দেওয়া না হলে সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষা ক্যাডাররা।’
এদিকে কৌশলে ২৪ তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার সদস্যদের পদোন্নতি বিলম্বিত করার অভিযোগ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নেতৃবৃন্দের একাংশের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, বিএনপি-জামাত জমানায় হাওয়া ভবনের তালিকায় শত শত মানুষ শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্যাডারে চাকরি পেয়েছেন। ২৪তম বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের একটা বড় অংশ পদোন্নতিযোগ্য ও পদোন্নতির আশায়। কয়েক সপ্তাহ আগে বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটির সভা হলেও পদোন্নতির চূড়ান্ত আদেশ জারি হচ্ছে না। এর পেছনে সমিতির কোনো কোনো নেতার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।