পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) নিয়োগ নিয়ে ওঠা অভিযোগ তদন্তে শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করে জড়িতদের শাস্তি ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি। তদন্ত করে অভিযুক্তদের নিয়োগ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম ও প্রশাসনিক অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা এবং ভাষা ও যোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসানের সাময়িক বরখাস্ত অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও ঘুষ লেনদেন নিয়ে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ তিন দাবি জানিয়েছে পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি। একইসঙ্গে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে সমিতির পক্ষ থেকে।
রোববার সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক জেহাদ পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে সংগঠিত নিয়োগ বাণিজ্য ও দেবাশীষের আত্মহত্যা নিয়ে প্রচারিত খবরটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ করে পবিপ্রবিসহ সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং সর্বমহলে পবিপ্রবির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সুষ্ঠু তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের নিয়োগ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম ও প্রশাসনিক অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে হবে। ভাষা ও যোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসানের সাময়িক বরখাস্ত যথাযথ প্রক্রিয়ায়(তদন্ত ব্যতিরেকে) না হওয়ায় তিনি ন্যায় বিচার বঞ্চিত হয়েছেন বিধায় তার সাময়িক বরখাস্ত অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উল্লেখিত নিয়োগ-বাণিজ্যের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করার ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি করলে বা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষক সমিতি তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। প্রয়োজনে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠনটি।