রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়পরিস্থিতির সমাধান চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধান চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবার চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া পুরকৌশল অনুষদের ডিন মো. নিয়ামুল বারি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অন্য অনুষদের ডিনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে নিয়ামুল বারি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

উপাচার্যের অভাবে আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেওয়ার জন্য গত মঙ্গলবার অধ্যাপক মো. নিয়ামুল বারিকে একাডেমিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এতে পরিস্থিতির সমাধান হয়নি। এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক নিয়ামুল বারি বলেন, চিঠিটি আসার পর নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন। তাঁদেরও পরীক্ষা দেওয়ার অধিকার আছে। তবে সমস্যা হচ্ছে তাঁদের বিভাগগুলোয় বিভাগীয় প্রধান নেই। বিভাগীয় প্রধান ছাড়া পরীক্ষা নেওয়া যায় না। কিন্তু তাঁর ক্ষমতা নেই যে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেবেন। তিনি বলেন, এটি তিনি শিক্ষার্থীদের বুঝিয়েছেন এবং পরে বুধবার একটি সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, রোববার এই পরিস্থিতির সমাধান চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাবেন।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্তত দুটি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নেই। আরও কয়েকটিতে এ মাসে শূন্য হবে। ফলে বিভাগগুলোর শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসতে না পারার আশঙ্কা করছেন। এ অবস্থায় গত বুধবার দিনভর মানববন্ধন, ঘেরাও, অবস্থানসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

সিএসই বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, তাঁরা দুপুরে মানববন্ধন করার পর মন্ত্রণালয় থেকে একাডেমিক কার্যক্রমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিন নিয়ামুল বারির কাছে যান। সেখানে তাঁরা পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানিয়ে তাঁর কাছ থেকে স্পষ্ট বক্তব্য চান। তাঁরা সমস্যার সমাধান চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আরেকটি চিঠি পাঠানোর দাবি তোলেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বুধবার বিকেলে ওই সভা ডাকেন নিয়ামুল বারি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জুলাইয়ে নিয়মিত উপাচার্য রফিকুল ইসলামের মেয়াদ শেষ হয়। ওই বছরের ৩ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপক ডিন মো. সাজ্জাদ হোসেনকে উপাচার্যের দৈনন্দিন কার্যসম্পাদনের দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়। তবে গত ২৮ মে পদোন্নতির দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন তিনি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ বন্ধ হয়ে যায়। প্রশাসনিক কার্যক্রমেও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে ২০০ - dainik shiksha ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে ২০০ ‘আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ - dainik shiksha ‘আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা জোরদার করার পরামর্শ ইউজিসির - dainik shiksha ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা জোরদার করার পরামর্শ ইউজিসির পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা - dainik shiksha পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক জাবির প্রশাসনিক ভবন থেকে ‘শেখ মুজিবের’ ছবি অপসারণ - dainik shiksha জাবির প্রশাসনিক ভবন থেকে ‘শেখ মুজিবের’ ছবি অপসারণ ইএফটি সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha ইএফটি সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন - dainik shiksha এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0027570724487305