পরীক্ষা বাতিল করার বিষয়কে কখনোই সমর্থন করেন না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, 'এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সচিবালয়ে শিক্ষাসচিব মহোদয় থেকে শুরু করে আমাদের সবাইকে অবরুদ্ধ করে। সেজন্য সচিব মহোদয় শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।'
হাসনাত বলেন, 'পরীক্ষা বাতিল করার বিষয়কে আমরা কখনোই সমর্থন করি না। কারণ পরীক্ষা ছাড়া একটা শিক্ষার্থীকে কখনোই মূল্যায়ন করার সুযোগ নেই। পরীক্ষাই হচ্ছে একটি শিক্ষার্থীর মেধা মূল্যায়নের একমাত্র মাধ্যম। কার এই যে পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে যারা প্রকৃত মেধাবী, যারা সারা বছর ধরে পড়াশোনা করেছে, তাদেরকে মূলত অনুৎসাহিত করা হলো। সুতরাং আমরা চাইব আর কখনোই যেন এই ধরনের ডিসিশনের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।'
রাজধানী জুড়ে দাবি-দাওয়া নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের আন্দোলন নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে আহ্বান জানাব যে, ১৬ বছরের ক্ষত কখনোই ১৬ দিনে শুকায় না। তার জন্য সময় দিতে হয়। আপনারা বিভিন্ন দাবিতে এখন আন্দোলন করছেন, দেখুন ১৬ বছরের একটি ডিফল্ট সিস্টেমকে স্বাভাবিকীকরণের জন্য সরকারকে একটি সময় দিতে হবে।
এখন আপনারা এই সংকটময় সময়টিকে পুঁজি করে যদি অস্থিতিশীল করতে চান, তাহলে আমরা ধরে নেব, আপনারা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। তিনি আরো বলেন, 'এখন দেখা যাচ্ছে, যারা গত ১৬ বছর ফেসবুকে একটি কমেন্ট করত না, পোস্টে রিয়েক্ট করত না, তারা মতামত প্রকাশ করত না, স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তারাও এখন শাহবাগে নেমে যাচ্ছে, তারাও এখন সচিবালয় ঘেরাও করছে, তারাও এখন প্রেস ক্লাবে নেমে যাচ্ছে। আমরা এগুলোকে সন্দেহের চোখে দেখছি। আপনারা সরকারকে সময় দিন। সরকার কাজ করছে।' কোনো পক্ষের কোনো দাবি যদি ন্যায্য হয় এবং সরকার আলোচনার পর না মেনে নেয়, তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারকে দাবি মেনে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করবে বলেও জানান তিনি।
দাবি জানানোর জন্য কিছু কাঠামোগত প্রক্রিয়া রয়েছে বলে হাসনাত বলেন, 'প্রথমে টেবিল টক, তারপর স্ট্রিট টক। কিন্তু প্রথমেই তারা স্ট্রিক টকে চলে যায়, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে আমাদের রাষ্ট্রের যে ফাংশনগুলো রয়েছে, সেগুলোকে যারা বিতর্কিত করতে চায়, তাদেরকে সুবিধাভোগী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।'