বাসা ভাড়া পেতে হলে বেশ কয়েকটি শর্তের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সপরিবারে নাকি ব্যাচেলর, পরিবারের সদস্য সংখ্যা কত, কী চাকরি বা ব্যবসা করা হয়, মাসের নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে ভাড়া পরিশোধ করতে হবে, রাত করে ফেরা যাবে না- এমন কিছু শর্ত ও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
সেটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু স্কুলজীবনের পড়াশোনায় কত নম্বর পাওয়া হয়েছে - এ প্রশ্ন করা বা কম নম্বর পেলে বাসা ভাড়া না দেওয়ার ঘটনা শোনেননি কেউ।
সম্প্রতি এমনই বিচিত্র ঘটনা ঘটেছে ভারতের ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে। সেখানে দ্বাদশ শ্রেণিতে নম্বর কম পাওয়ায় বাসা ভাড়া পাননি এক ব্যক্তি।
ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে বাসা ভাড়া নিতে গিয়ে যোগেশ নামে এক ব্যক্তিকে নিজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সরবারহ করতে হয়। সেখানে নিজের চাকরি, প্রতিষ্ঠানে যোগদানের কাগজ, আধার কার্ড ও প্যানকার্ডের কপি সংযুক্ত করে দেন তিনি। সেই সঙ্গে তাকে দিতে হয় বিভিন্ন শ্রেণির মার্কশিটও!
এত কিছু দেওয়ার পরও ওই ব্যক্তি বাসা ভাড়া পাননি। এর কারণ হিসেবে ব্রোকার ওই ব্যক্তিকে জানান, তার দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রাপ্ত নম্বর ৭৫ শতাংশ। কিন্তু বাড়িওয়ালা এমন একজনকে ভাড়া দিতে আগ্রহী, যার দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রাপ্ত নম্বর ৯০ শতাংশের বেশি। তাই তিনি ওই বাসা ভাড়া নেওয়ায় অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন।
যোগেশকে হোয়াটসঅ্যাপে এ কথা জানান ওই ব্রোকার। ইতোমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের সেই কথোপকথন ভারতজুড়ে ভাইরাল হয়েছে।
অবিশ্বাস্য লাগলেও অনেকে ঘটনাটি চোখ বুজেই বিশ্বাস করেছেন।
কারণ, বেঙ্গালুরুতে বাসাভাড়ার অবস্থা এমনই জটিল। গুগল, অ্যামাজনসহ তথ্যপ্রযুক্তির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে বেঙ্গালুরুতে।
যে কারণে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রকৌশলী ও কর্মীর সংখ্যা সেখানে দিন দিন বাড়ছে। ফলে ভাড়া বাসার চাহিদাও হু হু করে বাড়ছে। এ সুযোগ লুফে নিচ্ছেন বাড়ির মালিকেরা। ভাড়া দিতে নানান আজব শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন তারা।