পরীক্ষার হলে সন্তান জন্ম দিলেন স্কুলছাত্রী

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

পরীক্ষা দেয়ার সময় হলেই সন্তানের মা হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। এমন ঘটনায় হতবাক হয়ে গেছে স্কুলের শিক্ষক ও ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা। ইন্দোনেশিয়ার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে। খবর দ্য স্ট্রেইটস টাইমস’র।

শিক্ষক মুহাম্মদ নুরচালিদ ওই পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন। গত ৩০ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, ওই ছাত্রীর প্রসববেদনা ওঠার কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এই শিক্ষক জানান, ক্লাসরুমের পরিবেশ স্বাভাবিক ছিল। ওই ছাত্রী যে সন্তানের জন্ম দেবে, এমন কোনো লক্ষণই ছিল না।

তিনি বলেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পরই আমি হট্টগোলের আওয়াজ শুনতে পাই। আমি তখন ছাত্র-ছাত্রীদের চুপ থাকতে বলি। এসময় আমি কান্নার শব্দ শুনতে পাই।

নুরচালিদ বলেন, আমি তাকিয়ে দেখি একজন ছাত্রী বসে আছেন। তার হাতে একটি শিশু রয়েছে। জাতীয় দৈনিক কমপাসকে তিনি বলেন, মেঝেতে আমি রক্ত দেখতে পাই।

তখন দ্রুত একজন নারী শিক্ষকের সহায়তা চান নুরচালিদ। পরে ওই ছাত্রী ও তার কন্যাশিশুকে একটি কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু জটিলতা দেখা দেয়ায় ওই শিশুর স্কুলছাত্রী মাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তবে শিশুকে বাড়ি নিয়ে গেছে তার পরিবার।

জানা গেছে, এমন ঘটনায় শিক্ষক ও সহপাঠীরা ছাড়াও ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারও অবাক হয়ে গেছে। কারণ তার মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কোনো লক্ষণই ছিল না।

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুকারদি বলেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওই ছাত্রী কোনো মেডিকেল লিভ নেয়নি বা ক্লাসও মিস করেনি। এমনকি সে তার অন্য সহপাঠীদের মতো খেলাধূলার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ দিয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! জাল সনদে চাকরি, লাইব্রেরিয়ানকে তলব - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি, লাইব্রেরিয়ানকে তলব শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের নতুন পদক্ষেপ - dainik shiksha শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের নতুন পদক্ষেপ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ - dainik shiksha প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025129318237305