পরীক্ষার্থীদের প্রতি সদয় হোন

দৈনিক শিক্ষা ডেস্ক |

আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কঠোর লকডাউন তুলে দিয়ে গণপরিবহণসহ দোকানপাট, লঞ্চ, বিমান, অফিস-আদালত খুলে দেওয়ায় সমাজে মানুষের চলাফেরায় কিছুটা হলেও স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে। সাধারণ মানুষ এখনো কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও অধিকাংশ মানুষের মধ্যে ক্রমান্বয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা বেড়েছে। বেশিরভাগ মানুষই বাইরে গেলে মাস্ক পরছেন। তবে গত বছরের মার্চ মাস থেকে মুখ থুবড়ে পড়া শিক্ষাঙ্গনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। সরকার টিকা প্রদান সুনিশ্চিত না করে গার্মেন্ট এবং অন্য অনেক প্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অব্যাহতভাবে বন্ধ রেখেছে। ফলে প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না যেতে পেরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অলসতা, বিরক্তি ও হতাশা দেখা দিয়েছে। তাদের সব পরিকল্পনা ও স্বপ্ন স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। দু-একটি আত্মহননের মতো দুঃখজনক ঘটনাও ঘটেছে। রোববার (২২ আগস্ট) যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে  এ তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে  আরও জানা যায়, দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনোমতে অনলাইন ক্লাস চলছে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একইরকমভাবে এমন ভার্চুয়াল ক্লাস হতে পারছে না। তাছাড়া শিক্ষকদের সবার এ ব্যাপারে সক্ষমতা একই রকম নয়। অপেক্ষাকৃত তরুণ শিক্ষকদের ইন্টারনেট, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তিগত জ্ঞান বেশি থাকলেও তাদের সবার মধ্যে দায়িত্বশীলতা এক রকম নয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ভার্চুয়াল ক্লাস করার ব্যাপারে যে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে, তেমটা বলা যাচ্ছে না। অন্তত ভার্চুয়াল ক্লাসের উপস্থিতির হার তেমনটা প্রমাণ করে না। করোনার কারণে পরীক্ষাগুলোও আটকে ছিল। বিরাট এক সেশন জটের কবলে পড়েছে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে যেভাবেই হোক না কেন ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দিচ্ছে। কারণ, মুনাফা অর্জনের স্বার্থে তাদের নতুন সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। সেজন্য তারা শিক্ষার্থী কতটা জ্ঞান অর্জন করতে পারল বা পারল না, সেদিকে অধিক মনোযোগী না হয়ে তাদের পাশ করিয়ে দিচ্ছে।

এ প্রক্রিয়া চলমান থাকলে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। সরকারের পক্ষ থেকে গার্মেন্ট খোলা রাখার ব্যাপারে যতটা আন্তরিকতা দেখানো হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে ততটা আন্তরিকতা দেখানো হচ্ছে কি? সরকারের কাছে তো প্রত্যেক নাগরিকের জীবনের মূল্য আছে। যারা গার্মেন্টে কাজ করেন, তারা তো বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের চেয়ে অধিক শিক্ষিত ও সচেতন নন। অথচ স্বল্পশিক্ষিত সব গার্মেন্ট শ্রমিককে টিকা না দিয়ে যদি গার্মেন্ট খুলে দেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে তুলনামূলকভাবে অধিক শিক্ষিত ও সচেতন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকাদান নিশ্চিত হওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে আপত্তি করা কতটা যুক্তিসঙ্গত? শিক্ষাকে জাতির মেরুদণ্ড মানলে এ ব্যাপারটিকে তুলনা করা যেতে পারে হার্টের ব্লকের চিকিৎসা উপেক্ষা করে বাম হাতের একটি আঙুলের চুলকানির চিকিৎসাকে অধিকতর প্রাধান্য দেওয়ার সঙ্গে।

দেশের বড় চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত। সে অনুযায়ী, এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলা বা বন্ধ করার ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রয়েছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট নামের দুটি বিধিবদ্ধ পর্ষদ রয়েছে। এ পর্ষদগুলোর সভা ডেকে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা বা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত সরকারি বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিতে পারে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় রকমের সহিংসতা হলে অনেক সময় এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেট দ্রুত সভা ডেকে সবার জীবনের নিরাপত্তা রক্ষার্থে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হল ছেড়ে দিতে নির্দেশনা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। এমন ঘটনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেকবার ঘটেছে। এখন করোনাভাইরাসও যেহেতু একটি বড় রকমের দুর্যোগ, সে ক্ষেত্রে বড় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কতদিন বন্ধ থাকবে সে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবে কেন? তারা নিজেরা কেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল খোলা বা বন্ধের ব্যাপারে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না? এমন আচরণ তো বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ১৯৭৩ সালের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ/আইন-এর অবমাননা। এতে প্রমাণিত হয়, বড় চারটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নামেই স্বায়ত্তশাসিত। প্রকৃত বাস্তবতা হলো, এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাজনৈতিক কারণে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে সরকারের অঘোষিত নির্দেশনা মেনে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে একেক সময় একেক মন্ত্রীর বা বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য শুনে শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। তারা বুঝতে পারছে না কার কথা বিশ্বাস করবে। কবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে। ভ্যাকসিনের স্টক শেষ হওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী মে মাসের ২৬ তারিখে বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকাদান নিশ্চিত করেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে। শিক্ষামন্ত্রী ২৬ মে যখন ১৩ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় না খুলে স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন, তখন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী তার তিন দিন পর ৩০ মে বলেন, ‘দেশের করোনা পরিস্থিতি অনুকূল না থাকলে ১৩ জুন থেকে স্কুল-কলেজ খোলা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা স্কুলে এলে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।’ আবার ৩০ জুন শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় সংসদে বলেন, করোনার উচ্চ সংক্রমণের সময়কালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি একেবারেই অবান্তর। তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞান বলছে, ৫ শতাংশ বা তার কমে সংক্রমণের হার না মানা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আবার ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ্র বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু করার আগে অবশ্যই টিকা দিতে হবে। দেশে ভ্যাকসিন সহজলভ্য হওয়ায় আমরা সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় খোলার পরিকল্পনা করছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত সাড়া দিলে তা সম্ভব হবে’। এখন শিক্ষার্থীরা কার কথা শুনবেন? সেপ্টেম্বরের মধ্যে কি চলমান উচ্চ সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামবে? যদি না নামে তাহলে অধ্যাপক চন্দ্র কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবেন? আর যদি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে সরকারের প্রকৃতই আগ্রহ থাকত, তাহলে তো গণটিকার নামে বড় গণজমায়েত না ঘটিয়ে ওই টিকাগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ করতে পারত।

তবে মাঝে সরকার বিশ্ববিদ্যালয় না খুললেও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রাবাস না খুলেই কিছু পরীক্ষা সশরীরে নিয়েছে। এ পরীক্ষাগুলো শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে দিয়েছে। হল বন্ধ থাকায় দূরের শিক্ষার্থীদের কেউ মেস ভাড়া করে, কেউ বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে অনেক কষ্ট করে পরীক্ষা দেওয়াকালীন হঠাৎ করে আবারও পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়। আমার নিজের বিভাগে এমএসএস শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বেলায়ও এমনটা ঘটে। গরিব শিক্ষার্থীদের তখন বিভিন্ন রকম মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতি হয়। এখন আবার ১১ আগস্ট থেকে কঠোর লকডাউন শিথিল করায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আবারও হল না খুলে কেবল পরীক্ষা গ্রহণের অঘোষিত সরকারি নির্দেশনা পেয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ, বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষার শিডিউল দেওয়া হয়েছে এবং পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আমার নিজের বিভাগেও প্রথম বর্ষ বিএসএস সম্মান-২০২০ শ্রেণির পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছে। অচিরেই অন্য দু-একটি বর্ষেরও পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হবে। প্রথম বর্ষের পরীক্ষা ১২ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ২৪ অক্টোবর। তারপর মৌখিক পরীক্ষা। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের প্রায় দেড় মাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য থাকতে হবে।

এরা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। এদের অনেকেই বিভিন্ন উপায়ে হলে থাকত। এখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে এরা দেড় মাস কোথায় থাকবে? কেমন করে পরীক্ষা দেবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের সে চিন্তা নেই। তারা পরীক্ষার অনুমতি দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন শেষ হয়েছে মনে করছে। কেবল পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা চলাকালীন দিনগুলো যদি তাদের হলে থাকতে দেওয়া হয়, তাহলে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে? সরকার হয়তো ভাবছে ছেলেদের হলে উঠতে দিলে নানা রকম অসুবিধা হতে পারে। ওই চিন্তা এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কারণ, এ ক্ষেত্রে তো সবার জন্য হল খুলে দেওয়া হবে না। কেবল যারা পরীক্ষা দেবে তাদের পরীক্ষার দিনগুলোর জন্য হলে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে যেভাবে রুটিন করা হয়েছে, তাতে ২-৩ দিন পর পর পরীক্ষা রয়েছে। কাজেই পরীক্ষার্থীরা লেখাপড়া ছাড়া হলে অন্য কোনো কাজ করার সময় পাবে না।

আর ছাত্রীদের হলে থাকতে দেওয়ার বিষয়টি তুলনামূলকভাবে অধিকতর নিরাপদ। হল না খুললে ছাত্ররা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মেসে বা অন্য কোথাও যেভাবে থাকতে পারে, ছাত্রীদের তো তার চেয়ে অনেক বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। হঠাৎ করে মেয়েরা তো যে কোনো জায়গায় থাকার জায়গা জোগাড় করতে পারে না। তাদের অনেকেই অসুবিধার সম্মুখীন হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমার বিনীত আবেদন থাকবে, আপনারা সবার জন্য হল না খুললেও কেবল পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার শুরু থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত দিনগুলোর জন্য হলে থাকার অনুমতি দিন। আর তা-ও যদি কোনো কারণে দিতে আপনাদের আপত্তি থাকে, অন্ততপক্ষে ছাত্রীদের প্রতি একটু রহম করুন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রীদের পরীক্ষার দিনগুলোর জন্য তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে থাকতে দিন। এতে আপনাদের কোনো ক্ষতি হবে না। অভিভাবকরা আপনাদের ওপর খুশি হবেন। এমন পরীক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্তে নাগরিক সমাজে আপনাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং আমাদের প্রিয় ছাত্রীরা নিরাপদ পরিবেশে থেকে স্বস্তির সঙ্গে পরীক্ষা দিতে পারবে। এরা তো আপনাদেরই সন্তান। আপনারা যদি দুঃসময়ে এদের পাশে না দাঁড়ান, তাহলে এরা কার কাছে যাবে?

লেখক : ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0042910575866699