নিজেদের গ্রেডের বৈষম্য দূর করে অন্যান্য পেশার পদের মতো গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টররা। বুধবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে কর্মরত ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টররা এ দাবি জানান।
এ ছাড়াও তাদের ওপর বিভিন্ন প্রকার হুমকি, লাঞ্ছনা, মিথ্যাচার ও বৈষম্যের প্রতিবাদ জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পলিটেকনিক নন গ্রেডেড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাপনটিএ) মহাসচিব সুমন তালুকদার তাদের সঙ্গে হওয়া বৈষম্য তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সকল মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরে কর্মরত সকল পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর পদটি। ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর পদটি বাংলাদেশ সরকারের গেজেট, অর্গানোগ্রাম, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আদেশ ও বিভিন্ন অফিস আদেশ অনুযায়ী এই পদটি শিক্ষক পদ।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর পদটি ব্লক নয় উল্লেখ করে বলা হয়, ‘অন্যান্য শিক্ষক পদের ক্ষেত্রে নিয়োগ বিধিতে ৫০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ পদোন্নতির বিধান রাখা হলেও একমাত্র ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর শিক্ষক পদটিকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। যা অধিদপ্তরের সকল শিক্ষক পদের সঙ্গে সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের সকল তথ্য উপাত্ত উল্লেখ করে বারবার মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর আবেদন দিলেও তাদের হয়রানি মূলক বদলিসহ, বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে।
বৈষম্য দূর করতে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টররা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। এর ফলে বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ক্র্যাফট ইন্সট্রাক্টরদের বের করে দেয়া, নেমপ্লেট ভাঙা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করে অশ্লীল মন্তব্যসহ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে হত্যার পরিকল্পনা করছে বলেও দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।