পশ্চিমবঙ্গ: শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির জেলবন্দির দুবছর

কে কে মল্লিক, কলকাতা |

২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ১১ অক্টোবর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। টানা দুই বছর তিনি জেলবন্দি রয়েছেন। এই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন তার স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে সৌভিকও।  

আদালতের নির্দেশে স্ত্রী এবং পুত্রকে জামিনে মুক্তি দিলেও এখনো জেলবন্দি আছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। বহুবার জামিন চাইতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিবারেই তার আবেদন ফিরিয়ে দেয়া হয়। এদিকে প্রাথমিকের ওএমআর শিট প্রসঙ্গে এক ভযংকর দাবি তোলে বর্তমান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। যা রীতি মতো ঝড় তুলেছে দিয়েছে শিক্ষাব্যবস্থায়।

প্রাথমিকের  ওএমআর  শিট  নষ্ট করে দেয়া হয়েছিলো বলে অভিযোগ উঠেছিলো এর আগেই এবং সে বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতির মামলাও উঠেছিলো হাইকোর্টে। এই পরীক্ষার ওএমআর শিট মানিক ভট্টাচার্য এর নির্দেশেই নাকি নষ্ট করা হয়েছিলো বলে অভিযোগ করছে বর্তমান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ 

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে উঠে আসে ওই মামলা। এই আবহে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ওএমআর শিট নষ্ট হয়েছে। পর্ষদের বোর্ড সদস্যদের কোনো পরামর্শ ছাড়াই এটা করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বেআইনি হওয়া সত্বেও ওএমআর  শিট নষ্ট করা হয়েছিলো মানিক ভট্টাচার্যের অনুমোদনে। তিনি নিজে এই কাজ করিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, আইনজীবী আরো জানান, মানিক ভট্টাচার্য নিজেই বোর্ডের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নিতেন। তাই এটা যখন করেছিলেন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের তা জানানোই হয়নি ৷ তবে মামলা পাল্টা মামলায় আর যাইহোক, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0067589282989502