পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকার প্রথম ১০ জনের মধ্যে একজন ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরিত লিঙ্গের শিক্ষার্থী রয়েছেন। ছেলে হয়ে জন্মালেও হুগলি জেলার জনাইয়ের বাসিন্দা শরণ্যা ঘোষ নিজেকে রূপান্তরিত নারী বলে পরিচয় দিতে কোনো দ্বিধা করেন না। চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিকে তিনি ৫০০ নম্বর মধ্যে ৪৯০ পেয়ে সপ্তম স্থান অধিকার করেছেন। গত মঙ্গলবার এই ফল প্রকাশিত হয়।
শরণ্যা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, জন্মেছিলাম একজন পুরুষের শরীরে। ছেলেবেলা থেকেই আমার স্বভাব, আচরণ ছিলো মেয়েদের মতো। ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করি আমি একজন নারী। একাদশ শ্রেণি পাস করার পর আমি সমাজের কাছে নিজের সত্তা প্রকাশ করি। এখন আমি শরণ্যা। শরণ্যা অধ্যাপক হতে চান নয়তো সিভিল সার্ভিসে যোগ দেবার ইচ্ছা রাখেন।
রূপান্তরিত লিঙ্গ নিয়ে তার স্পষ্ট কথা, রূপান্তরিত লিঙ্গের মানুষকে সমাজ নিচু চোখে দেখেন। আমি মানুষের এই মানসিকতার পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে কাজ করবো। শরণ্যা বলেন, তিনি খুবই ভাগ্যবান। তার পরিবার তাকে সবসময় সমর্থন করে গিয়েছেন। এছাড়া বন্ধু ও শিক্ষকরাও তাকে সমর্থন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, প্রথম ১০ জনের মধ্যে যে তিনি থাকবেন এ বিশ্বাস তার ছিলো। তার পড়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় ছিলো না। তবে পড়তে বসলে তিনি মগ্ন হয়ে পড়তে ভালোবাসতেন।
আলাদা শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে তাকে কখনো অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছিলো কি-না জানতে চাইলে শরণ্যা বলেন, আমার পেছনে হয়তো অনেকে অনেক কথা বলে। কিন্তু তার মুখোমুখি কাউকে কোনো খারাপ কথা বলতে দেননি। খারাপ কথা মোকাবিলার ক্ষেত্রে তিনি খুবই কঠিন মানুষ।