পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখ নিয়ে জল্পনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছেন রাজ্যো নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, আগামী ৮ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের ২২ টি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। গণনা হবে আগামী ১১ জুলাই। পাঁচ বছর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লাগামছাড়া হিংসার অভিযোগ উঠেছিলো। তা সত্ত্বেও এবার এক দফাতেই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে বলে জানানো হয়েছে। মোট ৬৩ হাজার ২৮৩টি আসনে নির্বাচন হবে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ৯ জুন থেকে মনোনয়ন জমা দেয়া যাবে। ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন হল ২০ জুন।
তবে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সর্বদল বৈঠক না ডেকে ‘তড়িঘড়ি এক তরফা’ নির্বাচনের দিন ঘোষণার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। সেই সঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক আসনের জন্য মাত্র ৬ দিন মনোনায়ন পত্র জমা দেয়ার সময় নির্দিষ্ট করাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছেন। অবশ্য কমিশন জানিয়েছে, সর্বদলীয় বৈঠক করে নির্বাচনের দিন ঘোষণার নিয়ম নেই। যখন প্রয়োজন হবে বৈঠক হবে।
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে করানোর দাবি করেছিল বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে রাজীব সিনহাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাজ্য পুলিশের ওপর ভরসা রাখা উচিত। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। প্রস্তুতিতে কোনো গাফিলতি থাকবে না। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বলবো আস্থা রাখতে।
মোট ২২টি জেলায় ৩ হাজার ৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে । মোট পঞ্চায়েত আসন ৬৩ হাজার ২৮৩টি। ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতিতে আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৭৩০টি। এছাড়াও সর্বোচ্চ স্তরে ৯২৮টি জেলা পরিষদ রয়েছে।
সর্বত্র ত্রি-স্তর পঞ্চায়েতে নির্বাচন হলেও দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে নির্বাচন হবে দ্বি স্তরে। তবে জুনের মাঝামাঝি থেকেই পুরোদমে বর্ষা নেমে যাবে। তাই জুলাইয়ে বর্ষায় ভোট হওয়ায় গ্রামে ভোট দিতে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।