দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : নতুন পাঠ্যবই যৌক্তিকভাবে মূল্যায়ন করে শিগগিরই সংশোধন দেয়া হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা ও গভীর পর্যবেক্ষণে যেসব বিষয় উঠে এসেছে সেগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বলেও বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে এনসিটিবি।
বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সময় আমরা সকল শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে কোনো পরামর্শ থাকলে তা অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছিলো। আপনারা আমাদের সে আহ্বানে ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন। আপনাদের এ মতামত আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করে বিদ্যমান পাঠ্যপুস্তক যৌক্তিকভাবে মূল্যায়ন করে সংশোধনীগুলো অতিদ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমে পাঠানো হবে।
যারা নানা তথ্য, উপাত্ত, যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং সঠিক উপস্থাপনার মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে সহায়তা করছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে এনসিটিবি।
জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ নামে একটি গল্প নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া নাগরিকদের নিয়ে রচিত এ গল্পে ‘ট্রান্সজেন্ডার প্রোমোট’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে একটি পক্ষ।
এমন পরিস্থিতিতে ‘শরীফার গল্প’ গভীরভাবে পর্যালোচনা করে এনসিটিবিকে সহায়তা করার জন্য ৫ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদকে এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, এনসিটিবির সদস্য মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম এবং ঢাকা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ উপস্থাপনে যদি কোনো বিতর্ক বা বিভ্রান্তি থাকে, সেক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা যেতে পারে।
তবে দেশের বিশিষ্টজনরা বলছেন, জাতীয় শিক্ষাক্রমকেও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী কব্জা করতে চাইছে। তারা বর্তমান শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছে। এই আন্দোলনে সরকারকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। আর ‘মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির’ দাবি মেনে স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন না করার আহ্বান জানিয়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
এদিকে নবম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের গাজার অবস্থানকে গাম্বিয়া হিসেবে দাবি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ এসেছে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।