মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি ও ধারণা দিতে পঞ্চম শ্রেণিতে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর একটি অধ্যায় সংযোজনের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ব বিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মিলন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আব্দুল মোত্তালিব বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ধারণা দিতে ক্লাস ফাইভে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর একটি অধ্যায় সংযোজনের প্রস্তাব করছি। তাহলে ক্রমবর্ধমান এ সমস্যা কার্যকর সমাধানে আশানুরূপ ফল আসবে।’
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে 'জুলাই ম্যাসাকর: মেন্টাল হেলথ ইমপ্যাক্ট' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউর সাইক্রিয়াট্রি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শামসুল আহসান মাকসুদ। তিনি প্রবন্ধে মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. কামরুল হাসান বলেন, সুন্দর আগামী গড়ে তুলতে আন্দোলনে আহত ও স্বজনদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কাউন্সিলিং চালাতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব তারেকুল ইসলাম বলেন, দেশে মেন্টাল হেলথের সেবার পরিধি সীমিত। এর আওতা বাড়াতে হবে। তিনি আন্দোলনে আহত ও তাদের স্বজনদের মানসিক স্বাস্থ্যের অগ্রগতি নিশ্চিতে কাউন্সিলিংয়ের জন্য সংশ্লিষ্টদের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সভায় জানানো হয়, প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ কাজে ব্যস্ত। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ঘটাতে না পারলে প্রকৃত উন্নয়ন অসম্ভব।
অনুষ্ঠানে আমার বাংলাদেশ পার্টির সভাপতি ডা. আব্দুল ওয়াহাব মিনার বলেন, ‘রাজনীতিতে মতভিন্নতা থাকবেই, এটাই রাজনীতির ভূষণ। কিন্তু পতিত স্বৈরাচার এই পথ রুদ্ধ করে দিয়েছিল।’
৩ আগস্টের শান্তি সমাবেশে যোগ দেয়া চিকিৎসকদের কঠোর সমালোচনা করে তিনি। বলেন, ‘অন্যায় জানার পর সেখানে না যাওয়াই উচিত ছিল। কিন্তু আপামর জতার বিপক্ষে গিয়ে অনেকে সেখানে গিয়েছেন। এখন তারা যদি ভুল স্বীকার করেন, তাহলে ক্ষমা পাবেন। অন্যথায় বিচারের মুখোমুখি হবেন।’