মাধ্যমিকের ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের মধ্যেও চলবে শ্রেণি কার্যক্রম। মূল্যায়ন যেদিন থাকবে না, সেই দিনগুলোতে স্কুল খোলা থাকবে।
এমন চিঠি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারদের কার্যালয় থেকে দেয়া হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। পাবনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাঠানো এমনই একটি চিঠি দৈনিক আমাদের বার্তার হাতে এসেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির মূল্যায়ন যেদিন থাকবে না, সেই দিনগুলোতে স্কুল খোলা থাকবে। যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এইচএসসি পরীক্ষার ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, সে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এইচএসসি পরীক্ষার কারণে ষান্মাষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নিতে সমস্যা হলে পাশের কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অথবা অন্য কোনো উপায়ে মূল্যায়ন গ্রহণ করতে হবে। কোনো ক্রমেই একদিনের মূল্যায়ন অন্য দিন নেয়া যাবে না।
এ ছাড়াও কোনো এলাকা বন্যা কবলিত হলে অথবা বিদ্যালয়ের ক্লাসরুম বন্যার পানিতে প্লাবিত হলে যদি সেখানে কোনো ক্রমেই মূল্যায়ন গ্রহণের পরিবেশ না থাকে অথবা প্লাবিত হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীর আসার সুযোগ না থাকে সেই ক্ষেত্রে তৎক্ষণিকভাবে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ২০: ১ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত রক্ষা করা অসম্ভব হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান তা শিথিলযোগ্য মাত্রায় বিবেচনায় এনে মূল্যায়ন গ্রহণ করতে পারবেন।
৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত একই দিনের ও একই তারিখের মূল্যায়ন একই সময়ে গ্রহণ করতে হবে। কোনো ক্রমেই শিক্ষার্থীকে বিভাজন করে দুই শিফটে গ্রহণ করা যাবে না। অবশ্যই নির্ধারিত সময়ে একইসঙ্গে মূল্যায়ন শুরু করতে হবে।
মূল্যায়ন চলাকালীন কোনো সমস্যা দেখা দিলে এক প্রতিষ্ঠান আরেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ করে তা সমাধানের চেষ্টা করবে। এতেও সমাধান না হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসারকে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে।
মূল্যায়নের ক্ষেত্রে মাউশি অধিদপ্তর থেকে যান্মাষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন-২০২৪ ‘শিক্ষকদের জন্য সাধারণ নির্দেশনা’ এবং সময়ে-সময়ে জারিকৃত নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
কোনোক্রমেই মাউশি অধিদপ্তরের নির্দেশনার পরিপন্থী কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না।