পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র অবমূল্যায়নের কারণে প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ স্বপ্ন চুরমার হয়ে যায়। অনেক শিক্ষার্থীর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সর্বত্রই একই পরিস্থিতির শিকার হন দুর্ভাগা কিছু শিক্ষার্থী। সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হলো পরীক্ষকদের অবমূল্যায়নের প্রকৃত শিকার হন মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১ মার্চ) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, অদক্ষ পরীক্ষক দিয়ে খাতা মূল্যায়ন, যথাযথ নিরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকা, পরীক্ষক নিজ হাতে খাতা মূল্যায়ন না করে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে বা অন্যকে দিয়ে মূল্যায়ন করানো, স্বল্প সময়ে অধিক খাতা মূল্যায়ন করা, অনুমানের ওপর নম্বর দেওয়া, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরদারির অভাব, মূল উত্তরপত্রের সঙ্গে থাকা লুজ শিট আলগা হয়ে যাওয়া, অবমূল্যায়নকারী জবাবদিহির বিধান না থাকা ইত্যাদি কারণে উত্তরপত্রের অবমূল্যায়ন হয়। এ ছাড়া এমন কথাও প্রচলিত আছে, পরিবারে অশান্তি হলে পরীক্ষকের রোষের শিকার হয় উত্তরপত্র। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে একজন শিক্ষার্থীর যে ক্ষতি হয় সেটা কোনোভাবেই পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। বিষয়টি একেবারই অমানবিক। কাজেই তাচ্ছিল্য বা যেনতেনভাবে খাতা মূল্যায়ন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এর থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে পরীক্ষকদের প্রতি নজরদারি বাড়ানো এবং অব্যাহতভাবে অবমূল্যায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের জবাবদিহি ও শাস্তির ব্যবস্থা করা। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষগুলো ভেবে দেখবে বলে আশা করি।
জেসমিন আক্তার
লেখক : শিক্ষার্থী, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, জয়নাল হাজারী কলেজ, ফেনী।