পাশাপাশি দুই স্কুলে শিক্ষার্থী সংকট

শেরপুর প্রতিনিধি |

শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিধিমালা অমান্য করে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয় দুটি হচ্ছে- ৪৯নং সাতানী মথুরাদী দক্ষিণপাড়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কলাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় দুটিতে উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী নেই। পাশাপাশি স্থানে হওয়ায় উভয় বিদ্যালয়ই শিক্ষার্থী সংকটে পড়েছে।

   

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাগজে কলমে দুটি বিদ্যালয়ে মোট ৮০ থেকে ৯০ জন শিক্ষার্থী দেখানো হলেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। বিদ্যালয় দুটিতে মোট ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয় দুইটির আনুমানিক দূরত্ব হবে ২০০ গজ। সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী এক বিদ্যালয় থেকে অন্য বিদ্যালয়ের দূরত্ব হতে হবে দুই কিলোমিটার। কিন্তু সরকারি এ নীতিমালা অনুসরণ না করে নিয়মবহির্ভূতভাবে তথ্য গোপন করে বিদ্যালয় দুইটি সরকারিকরণ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, কলাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আগে সরকারিকরণ করা হয়। পরে সাতানী মথুরাদী দক্ষিণ পাড়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয়।  

জানা গেছে, সাতানী মথুরাদী দক্ষিণ পাড়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জমির মৌজার নামানুসারে কাগজপত্র দেখানো হলেও বিদ্যালয়টি মূলত কলাকান্দা এলাকাতেই স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানে দুইটি বিদ্যালয় থাকার কারণে বিদ্যালয় দুটিতেই শিক্ষার্থী সংকট রয়েছে। শুধু তাই নয়, এর ১০০ গজের মধ্যে শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আর ১৫০ গজের মধ্যে সেকদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তথ্যগোপন করে সাতানী মথুরাদী দক্ষিণ পাড়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করায় তা বাতিলের দাবি উঠেছে।

ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে কালাকান্দা গ্রামের মৃত আব্দুল ছামাদের ছেলে রেজাউল করিম বাদী হয়ে শেরপুর সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা করেছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের ২০ জনকে বিবাদী করে মামলাটি দায়ের করা হয়। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে এ বিষয়ে অভিযোগও পাঠানো হয়েছে। আদালত সাতানী মথুরাদী দক্ষিণ পাড়া বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা পারভীনসহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের ২০ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে।

তবে প্রশাসনিকভাবে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে শ্রীবরদী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক বলেন, ‘আদালতে মামলা হয়েছে। আমরা আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
আগের নিয়মে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি - dainik shiksha আগের নিয়মে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ - dainik shiksha শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ মাদকের গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার - dainik shiksha মাদকের গডফাদারদের ধরার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার শিক্ষা প্রশাসনে বদলি আতঙ্কে নাহিদ-দীপু সিন্ডিকেটের ৯২ কর্মকর্তা - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বদলি আতঙ্কে নাহিদ-দীপু সিন্ডিকেটের ৯২ কর্মকর্তা দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! - dainik shiksha দীপু মনি-রতন সিন্ডিকেটের ফিরোজই শিক্ষা অধিদপ্তরের এ ডি! বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের হাতাহাতি, সভা পণ্ড - dainik shiksha বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের হাতাহাতি, সভা পণ্ড শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ - dainik shiksha শিক্ষকদের বদলির বিষয়ে সর্বশেষ অগ্রসর সমাজ তৈরির লক্ষ্যই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন - dainik shiksha অগ্রসর সমাজ তৈরির লক্ষ্যই বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0051519870758057