সিনিয়র রিপোর্টার, টাঙ্গাইল : কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীরউত্তম) বলেছেন, আমি বলবো আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে এতো দৌড়াদৌড়ি ভালো না। এটা তার দেশের ইলেকশন না, ইলেকশন আমাদের দেশের।
শুক্রবার সকালে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, তারা তিনটা দলকে চিঠি দিয়েছেন সংলাপের জন্য। বাংলাদেশে আর মানুষ নাই? বাংলাদেশে আর দল নাই? তিনিই তো তিনটি দলকে চিঠি দিয়ে দেশকে ভাগ করেছেন বিভক্ত করেছেন এটাই তো তার গর্হিত অন্যায়। এ জন্যই তো তার শাস্তি পাওয়া উচিত, স্যাংশন পাওয়া উচিত বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে। আমাদের ছোট দেশ বলে গরীব মানুষের সুন্দরী বউয়ের মতো যে যা খুশি তাই করবে এটা হতে পারে না, এটা চলতেই পারে না। এই তিনটি দলকে চিঠি দিয়ে অন্যায় করেছে তাই তাকে দেশের সংবিধান অনুযায়ী আইনের আওতায় আনা যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন,আমেরিকার সমর্থন নেয়া বিএনপিকে মুসলমানের ভোট দেয়া উচিত না। ইসরায়েল যেভাবে গাজার উপর অত্যাচার করছে, মুসলমানদের হত্যা করছে, বৃদ্ধ, শিশুকে হত্যা করছে এই অবস্থায় আমেরিকাকে একটু ছাড় দেয়া উচিত না।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা আমেরিকায় বাস করি না বাংলাদেশে বাস করি। আমেরিকা স্যাংশন দেবে এই ভয়ে আমরা বিয়ে করবো না বউ তালাক দিবো, মেয়ের বিয়ে হবে না ছেলের বিয়ে করাবো এটা চিন্তা ভাবনা করা উচিত না। এটা জাতীয় পার্টির জিএম কাদের জীবনের একটি শ্রেষ্ঠ ভুল কথা বলেছেন।
তফসিল নিয়ে বঙ্গবীর বলেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়েছে এটা নিয়ে অনেকে খুশি না। আমি নিজেও খুশি না। কিন্তু তার পরেও বলবো একটি গণতান্ত্রিক দেশে পাঁচ বছর পর পর অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ প্রভাব মুক্ত নির্বাচন হওয়া দরকার, বঙ্গবন্ধু নিজে বলেছেন সব প্রকার প্রভাব মুক্ত নির্বাচন করতে হবে। আমি বলবো এখন সরকার নাই এখন সরকার নির্বাচন কমিশন। ইচ্ছে স্বাধীন যেনো কোনো কিছু না করা হয়। গতবারের মতো ভোটারহীন ভোট হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ও সবথেকে বেশি ক্ষতি হবে বাংলাদেশের ও তার থেকে বেশি ক্ষতি হবে আমার বোন শেখ হাসিনার।
এছাড়াও বঙ্গবীর বলেন, সামনে নির্বাচনে ৩০০ আসনেই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ মনোনয়ন দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ রাখায় তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা করেন বঙ্গবীর। তিনি এ বিষয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের উচিত এ ভাসানীর মাজারে যেনো সবাইর জন্য উম্মুক্ত থাকে। সবাই যেনো ভাসানী হুজুরের মাজার জিয়ারত করতে পারে।
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীরা।