পিটিয়ে ছাত্র হত্যা : চার শিক্ষকের দুই দিনের রিমান্ডে

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি |

সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রাজপ্রতাপ দাস (১৫) হত্যা মামলায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ চার শিক্ষককে কারা ফটকে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। 

মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাকিবুল ইসলাম এ আদেশ দেন। আদলত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ওই চার শিক্ষককে মামলার তদন্তের জন্য পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে আদালতে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। 

জন্মদিনের কেক কাটা নিয়ে শিক্ষকের পিটুনিতে ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিলো। ওই চার শিক্ষক হলেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েম, সহকারী প্রধান শিক্ষক এম এ মুহিত, সহকারী শিক্ষক অবকাশ চন্দ্র খাঁ ও সিদ্ধার্থ রায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের ৩ তলা ভবনের একটি কক্ষে নবম শ্রেণির ছাত্র রাজপ্রতাপসহ কয়েকজন মিলে সহপাঠী জুবায়ের হোসেন ও মশফিকের জন্মদিনের কেক কাটে। এর জের ধরে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এম এ মুহিতের নেতৃত্বে সহকারী শিক্ষক অবকাশ চন্দ্র খাঁ, মনিরুল ইসলাম ও সিদ্ধার্থ রায় ছাত্রদের বকাবকি ও চড়চাপট মারেন। পরে তাদের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েমের কক্ষে নিয়ে ওই ছাত্রদের মারপিট করা হয়। এসব ঘটনার পর রাজপ্রতাপ দাস বাড়ি গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে নলতা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে স্কুলের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষ স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে আনে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ১৭ জুলাই হত্যা মামলাটি করেছেন নিহত স্কুল ছাত্র রাজপ্রতাপের বাবা দীনবন্ধু দাস। পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। সহকারী শিক্ষক মনিরুল ইসলাম ঘটনার পর থেকে পলাতক। 

এদিকে স্কুল ছাত্র নিহতের ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকার সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক ওই ছাত্রের বাড়িতে যান। তার স্কুল ছাত্র রাজপ্রতাপের বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় সংসদ সদস্য পরিবারেরর ঘটনায় ন্যায় বিচারের আশ্বাস দেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে - dainik shiksha ভিকারুননিসার সেই ফৌজিয়া এবার ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য - dainik shiksha ১৮ দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি : উপাচার্য উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত - dainik shiksha উপদেষ্টা আসিফ-নাহিদের ছাত্র সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস - dainik shiksha যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক - dainik shiksha মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক - dainik shiksha ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0053210258483887