..পিস্তল রেখে ঘুমাতাম, ..বাচ্চাকে দেশছাড়া করমু: ভিকারুননিসা অধ্যক্ষ বচনে হইচই

নিজস্ব প্রতিবেদক |

শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তা ও ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম-এ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও এক অভিভাবকের মধ্যকার ফোনালাপের খবর প্রকাশের পর সারাদেশে শিক্ষকদের মধ্যে ছিছি রব উঠেছে। কথা বলার একপর্যায়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার থেকে প্রেষণে আসা অধ্যক্ষ ওই অভিভাবককে বলেন, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কোনো ... বাচ্চা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব, আমি শুধু ভিকারুননিসা না আমি দেশছাড়া করব।’ 

ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপটি দৈনিক আমাদের বার্তার হাতে রয়েছে। ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড ধরে অধ্যক্ষ ও  অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর মধ্যে চলা ওই কথোপকথনের কয়েকটি নোংরা শব্দ বাদে বাকীগুলোপাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো :

কামরুন নাহার : লকডাউনের মধ্যে আমি অফিস করি কি না করি কার বাপের কী? কোন ... বাচ্চার কিছু যায় আসে?

টিপু : না ...

কামরুন নাহার : কোন ...র বাচ্চার যায় আসে কিছু? যদি আমি অফিস না করি? আমি জানতে চাই, কোন ... পোলার কী যায় আসে?

টিপু : এইডি তো আপনার জিবির (গভর্নিং বডি) লোক।

কামরুন নাহার : কোন ... পোলার কী যায় আসে? আমি রাজনীতি করা মেয়ে আমি কিন্তু ভদ্র না।

টিপু : না...

কামরুন নাহার : আমি বলে দিলাম, আমি শিক্ষক। আমি প্রিন্সিপাল। আমি সেই দিকটায় আলাদা পরিচয়।

টিপু : এইডি তো আপনের...

কামরুন নাহার : ওই ... পোলা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু তার গোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়ব।

টিপু : না, আপনের বোধহয় ওই যে জিবির মেম্বারে এইগুলা ছড়ায় কি না দেখেন।

কামরুন নাহার : কোন মেম্বার আর কোন মার ভাতার আমার দেখার কিন্তু বিষয় না। কোনো ... বাচ্চা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব (৪০ সেকেন্ডের জায়গাটা অস্পষ্ট)। আমি শুধু ভিকারুন্নিসা না, আমি দেশছাড়া করব।

টিপু : ঠিক আছে আপা। এইটা ভালো।

কামরুন নাহার : এবং আমি অনেক সহ্য করেছি। এই কালকে সচিবের (শিক্ষা সচিব) কাছে বলে এসেছি। সচিব বলেছে মন্ত্রী তোমাকে খুব ভালোবাসে। তুমি এই জায়গায় থাকবা। আমি বলেছি, স্যার (৫২-৫৪ সেকেন্ড বোঝা যাচ্ছে না)। তুমি এইখানে থাকবা, তুমি যোগ্য, মন্ত্রী তোমাকে পছন্দ করেছে।

টিপু : আইচ্ছা।

কামরুন নাহার : আর কোনো ... বাচ্চা তদন্ত কমিটি করলে আমি কিন্তু দা দিয়ে কোপাবো তারে সোজা কথা।

টিপু : হা হা হা।

কামরুন নাহার : আমার ... আছে। আমার বাহিনী আছে। আমার ছাত্রলীগ আছে, যুবলীগ আছে, আমার যুব মহিলা লীগ আছে।

টিপু : আফনে আবার...

কামরুন নাহার : কিন্তু কিচ্ছু লাগবে না। কাপড় খুইলা রাস্তার মধ্যে পিটাব।

টিপু : আফনে আবার আগের চরিত্রে চইলা যাবেন মুকুল আফা। হা হা...

কামরুন নাহার : হ্যাঁ হ্যাঁ হ্যাঁ যাব। যাব। আমি কিন্তু একদম, আমি কিন্তু গুলি করা মানুষ। রিভলবার নিয়া ব্যাগের মধ্যে হাঁটা মানুষ। আমার পিস্তল বালিশের নিচে থাকত। সারারাত পিস্তল আমার বালিশের নিচে থাকত। আমি কিন্তু...

টিপু : আমি নাজমারে (যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার) ফোন করে কইতাসি মুকুল আফা চেইতা গেসে তুমি থামাও। তোমার জিএস রে (হাসি)।

কামরুন নাহার : হ্যাঁ। নাজমা আমারে বলসে। যে কেউ তরে ডিস্টার্ব করলে আমারে খালি বলিস। আমার নাজমাও লাগবে না। নাজমার গ্রুপের শুধু মেয়ে কালকে আমারে পরশু দিন অফিসে বসছি পরে আমারে বলতেছে আপা। আসবেন আমরা কাপড় খুইলা রাস্তার মধ্যে রাইখা পিটাব তারে। তার এত দুঃসাহস আপনার বিরুদ্ধে কথা বলে, আর আপনাকে ডিস্টার্ব করে। ঘরের থেকে টাইনা বাইর কইরা রাস্তার মধ্যে পিটাইয়া কাপড় খুইলা ফেলাব। আমার সম্পর্কে লেখে, আমার ঢাকা পতেঙ্গা ফেয়ারেল গলিতে চাইনিজ খাবার খাওয়াইসি। আর আমার সম্পর্কে লেখে, প্রিন্সিপাল অফিস করে না। কোন কুত্তার বাচ্চার মায়ের কোনে লিখেছি আমি। আমি আমার অফিস করি সচিবকে বইলা। করোনার মধ্যে, করোনার মধ্যে এই,  করোনার মধ্যে আমার বারান্দার অফিসে আমি দরজা খুলে বসে থাকি, আমার চেয়ার টেবিল নিয়ে। আমি অফিসে গিয়ে রাউন্ড দিয়ে চলে আসি কর্মচারীরা ঠিকমতো আছে কি না। করোনার মধ্যে অফিসের নিয়ম নাই। আমাকে নিষেধ করছে সারা বাংলাদেশ যে করোনার মধ্যে তোমরা লকডাউনের মাঝে অফিস খোলা রাখবে না তাহলে করোনা ছড়াবে। কোন ... বাচ্চার কী যায় আসে? কোন ...র বাচ্চার কী যায় আসে? আমি অফিসে না গেলে ...বাচ্চারা ... বাচ্চারা কি আমার জায়গাটায় মজা পায়? কোন ... বাচ্চারা চায় যে আমি অফিসে বইসা অফিস করি, তাদের অফ করেন। ...র বাচ্চা।

টিপু : ঠিক আছে আপা।

কামরুন নাহার : আমি রাজনীতি করা মেয়ে।

টিপু : আমি তো আছি আফনে এত...

কামরুন নাহার : আমি কিন্তু শিক্ষা ক্যাডারে আসছি বলে কিন্তু...

টিপু : আফনের চাইর নাম্বার গেইটের অপজিটে হইল আমার বাসা। এত চিন্তা করেন ক্যান? আমার দুই মিনিট লাগব যদি বসুন্ধরা...।

কামরুন নাহার : আমি কোনো চিন্তা করি না। কারণ আমি নিজেই শক্তিশালী। কোনো... কথায় আমি চলি না। কোনো... বাচ্চার কথায় আমি চলি না। আমি নিজেই কিন্তু শক্তিশালী। দলটার আমি প্রেসিডেন্ট ছিলাম। মনে রাইখেন এই দলটা এখন সরকারে। যতদিন এই দলটা আছে ততদিন আমার পাওয়ার আছে। আমি কিন্তু ... বাচ্চাদের লেংটা করে রাস্তার মইধ্যে পিটাইতে পারব। আমার লাগবে না আমার দলের মেয়েদের ডাকলে দলের ছেলেও লাগব না। মেয়েরাই ওর চুল-দাড়ি ছিঁইড়া প্যান্ট খুলে নামাইয়া দিবে। আমার সম্ভবত তিন সপ্তাহ যেন দাঁড়াতে সাহস না পায়। আমি কিন্তু কোনো অন্যায়ের সাথে বসবাস করি না এইডা মনে রাইখেন।

টিপু : তয় নাসির [গভর্নিং বডির নির্বাচিত সদস্য সিদ্দিকী নাসির উদ্দিন (মাধ্যমিক)]  যে...

কামরুন নাহার : আমার নামে যে লেখে ... বাচ্চারে আমি অনেক সহ্য করছি।

টিপু : তয় নাসির যে...

কামরুন নাহার : সচিব স্যারকে বলছি অসভ্যরা আমার পেছনে লাগে, আমারে আপনি ঢাকা বোর্ডে পোস্টিং দিয়ে দেন। স্যার বলছে, মন্ত্রী তোমাকে পছন্দ করে। আমাকে যেহেতু ধরতে গেলে থাকতেই হবে তাহলে কুত্তার বাচ্চাদের সাথে লইড়াই আমি থাকব।

টিপু : না... নাসির যে এত চিল্লাচিল্লি করল আপনি নাসিররে কিছু কইলেন না ক্যান?

কামরুন নাহার : কোনো নাসিররে আমি চিনি না। নাসিররে কী বলব তা আমি বুঝি। কেউ যেন আমার পেছনে লাগে না আপনি নিষেধ কইরে দিয়েন। আপনার সঙ্গে যারাই বলবে নিষেধ করে দিবেন।

টিপু : না, তা তো বলবই। আফনে রোববারে ইস্কুলে আইলে আমারে একটু ফোন কইরেন।

কামরুন নাহার : স্কুল করব কি না করব তা আমার এষতিয়ার, আমি বসব কি না বসব। আমি সচিবকে বলছি, সচিব স্যার আমি বাসায় বসে অফিস করি। বলে, যে বাসাটা দেয়া হইসে বাসায় বইসা অফিস করবা। যখন সুবিধা অফিসে যাবা এখন করোনার মধ্যে। তুমি এই নিয়া চিন্তা কইরো না। আমরা অফিস করি না মাসে একবার-দুবার আসি জরুরি মিটিং থাকলে। আর ... বাচ্চারা সারাক্ষণ কয় আমি অফিসে যাই না, অফিসে যাই না।

অভিভাবক আতিকুর রহমান দর্জী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভিকারুননিসার মতো স্বনামধন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের ভাষা এটা হতে পারে না। আমরা সাধারণ অভিভাবকরা অডিওতে তার ভাষা শুনে খুবই মর্মাহত। তিনি যেভাবে যুবলীগ-ছাত্রলীগ আর মন্ত্রী-সচিবের নামে হুমকি দিয়েছেন, এতে আমরা যারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করি তারা চরমভাবে বিব্রত।’

মীর সাহাবুদ্দিন টিপু সাংবাদিকদের জানান, ‘গত ১০ জুন কামরুন নাহারের সঙ্গে আমার কথা হয়। কিছুক্ষণ ভালোভাবে কথা বলার পরই অধ্যক্ষ এভাবে কথা বলতে শুরু করেন। এর কয়েক দিন পর অধ্যক্ষ নিজেই ১৫ বারের বেশি আমাকে ফোন করেন। তিনি আমাকে প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে অথবা তার বাসায় দেখা করতে বলেন। দুই খানেই সিসিটিভি ক্যামেরা আছে এবং কী থেকে কী হয়, এই ভেবে আমি অপারগতা প্রকাশ করি। কারণ এমনিতেই সবাই বলে আমি আপনাকে শেল্টার দিই। তখন তিনি আমাকে বলেন, তাহলে অন্য কোনো জায়গায় দেখা করি। এরপর অফিসার্স ক্লাবে তার সঙ্গে দেখা হয়।’

জানতে চাইলে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার বলেন, ওইসব অডিও টেপ এডিট করা। এগুলো সত্য নয়। অভিভাবক প্রতিনিধি সিদ্দিকী নাসির আমার দরজায় লাথি মেরেছে।  অবৈধভাবে শাখা বদল ও ভর্তির তদবির করে নাসির। আমি এগুলো কাউকে বলিনি। মিডিয়ায় বলিনি এতদিন। 

গভর্নিং বডির অনিয়ম তদন্তে শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত কমিটি : ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভর্তিবাণিজ্য, উন্নয়নকাজে আর্থিক অনিয়ম ও শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করার অভিযোগ তদন্ত করতে গত ১৮ জুলাই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এ সংক্রান্ত চিঠি ১৯ জুলাই স্কুলে পাঠানো হয়।

বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরের ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার মধ্যে শিক্ষকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভর্তিসহ কলেজের যাবতীয় কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপ, ভর্তিবাণিজ্য ও কলেজের উন্নয়ন ও সংস্কারমূলক কাজে আর্থিক অনিয়মের চেষ্টাসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞাকে আহ্বায়ক করে উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ) মো. হেলাল উদ্দিন ও উপ-কলেজ পরিদর্শক মুহাম্মদ রবিউল আলমকে সদস্য করা হয়েছে। তাদের প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন পরিদর্শন করে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে বোর্ডের কলেজ পরিদর্শকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিধি অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।

জানা গেছে, স্কুল-কলেজ ও সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত মোট সাতজনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলা হয়েছে। তারা হচ্ছেন মাধ্যমিকের অভিভাবক প্রতিনিধি সিদ্দিকী নাসির উদ্দিন ও ওয়াহেদুজ্জামান মন্টু, কলেজ স্তরে অভিভাবক প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান খোকন, বাদরুল আলম, মোর্শেদা আক্তার এবং সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত রীনা পারভিন ও জান্নাতুল ফেরদৌস। তারা বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত ভর্তি নিতে অধ্যক্ষকে চাপ সৃষ্টি করেন। অধ্যক্ষ তাতে রাজি না হলে তার সঙ্গে অশোভন আচারণসহ ভয়ভীতি দেখানো হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0026390552520752