ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামের ৩নং ধামাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সংকট থাকায় পিয়ন পারভেজ মোশাররফই ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে বিদ্যালয়ে গেলে এই চিত্র ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. কপিল মিয়া।
তবে বিদ্যালয়ের এসএমসি’র সভাপতি মো. নজরূল ইসলাম বলছেন, একজন পিয়ন তো শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের কোনো বিধান নেই। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, এভাবেই চলছে আমাদের এখানের প্রাথমিক শিক্ষা।
বিদ্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই বিদ্যালয়টিতে প্রাথমিকের পাশাপাশি চালু রয়েছে ৬ষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ক্লাস। প্রথম ও দ্বিতীয় শিফটে একই সময়ে চলে দুইটি শিফ্ট। প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকের পদ রয়েছে ১০টি। বর্তমানে শিক্ষক আছেন মাত্র ৬ জন। এরমধ্যে রমজান আলী নামের এক সহকারী শিক্ষক রয়েছেন ছুটিতে। এতে বিদ্যালয়ে আছেন ৫জন শিক্ষক। শিফ্ট ৬টি।
সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে দেখা যায় প্রথম শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ের পাঠদানে ব্যস্ত রয়েছেন পিয়ন পারভেজ মোশাররফ। শ্রেণির কক্ষের সামনে দাঁড়াতেই মোশাররফ হতকচিতভাবে বাহিরে তাকান। কোন বিষয় পড়াচ্ছেন? তিনি উত্তর দেন- স্যার আমি স্কুলের পিয়ন পারভেজ মোশাররফ। প্রথম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাসে এলাম আর কি। কোনো স্যার নেই তাই আমিই...।
প্রধান শিক্ষক মো. কপিল মিয়া বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে পিয়নকে ক্লাসে পাঠিয়েছি। তার বাড়ি ধামাউড়া গ্রামেই। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, গ্রামের বাসিন্দা হয়েও ২/১ জন শিক্ষক ক্লাস ফাঁকি দেন। সামান্য অযুহাতে ছুটি নেন। এমনিতেই শিক্ষক সংকট তারপর ছুটি নিলে তো এমন পরিস্থিতি হবেই। এভাবেই চলছে আমাদের শিশুদের পড়ালেখা। শিক্ষকদের আরো আন্তরিক হতে হবে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও ওই বিদ্যালয়ের এসএমসি’র সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কোনোভাবেই স্কুলের পিয়নকে শ্রেণি কক্ষে পাঠদানের জন্য পাঠানো ঠিক না। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।