বগুড়ার শিবগঞ্জে ধর্ষণচেষ্টার সময় আওয়ামী লীগ নেতার পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন এক গৃহবধূ। গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কিচক ইউনিয়নের মাদারগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওই নেতার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহবধূকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ওই আওয়ামী লীগের নেতার নাম এরশাদুল ইসলাম (৩৫)। তিনি উপজেলার কিচক ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত এরশাদুলের ভাই শাহীন মিয়ার অভিযোগ, হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে তাঁর ছোট ভাইয়ের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামী রুবেল মিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদুল ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। সেই ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কারাগারেও ছিলেন। কিছুদিন আগে জামিনে বের হয়ে আবার আমার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। (সোমবার)
সন্ধ্যায় আমি বাজারে গেলে এরশাদুল বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীর হাত চেপে ধরেন। এ সময় আমার স্ত্রী চিৎকার করলে দৌড়ে পালিয়ে যান তিনি। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে আবারও আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় আমার স্ত্রী ব্লেড দিয়ে তাঁর বিশেষ অঙ্গ কেটে দেয়।’
এরপর এরশাদুলকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গতকাল সকাল সাড়ে আটটার দিকে এরশাদুলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।