পুরো জাতীয় সংগীত গাইতে না পারায় শিক্ষকের বেতন স্থগিত করলেন ডিসি

হান্নান খাদেম, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি |

পুরো জাতীয় সংগীত গাইতে না পারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার এক শিক্ষকের বেতন স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। তার পরিদর্শনের সময় স্কুলের উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন ওই স্কুলে উপস্থিত না থাকায় তাকেও শোকজ করার নির্দেশ দিয়েছেন ডিসি। 

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে ডিসি মো. শাহগীর আলম এ নির্দেশ দেন। 

জাতীয় সংগীত গাইতে না পারায় বেতন স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া শিক্ষকের নাম মো. সোহরাব হোসেন। তিনি মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা শিক্ষক।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। এক পর্যায়ে শরীরচর্চা শিক্ষক মো. সোহরাব হোসেনকে জাতীয় সংগীত গাইতে বলেন। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ জাতীয় সংগীত গাইতে পারেন নি। এরপর জেলা প্রশাসক শরীর চর্চা শিক্ষকের বেতন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। যতদিন পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা শুদ্ধভাবে সম্পূর্ণ জাতীয় সংগীত গাইতে না পারবে ততোদিন পর্যন্ত বেতন স্থগিত থাকবে। এ সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে সংশ্লিষ্ট ইউএনওকে বলেন জেলা প্রশাসক। 

জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ডিসি স্যার যে বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছেন বিষয়টি আমি জানি না। স্যার তো শোকজ করতেই পারেন। 

জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ডিসি স্যার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে বিভিন্ন খোঁজ খবর নেন। ওই বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক মো. সোহরাব হোসেন সম্পূর্ণ জাতীয় সংগীত গাইতে না পারায় তার বেতন স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেনকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দাপ্তরিক কাজের অংশ হিসেবে ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সেখানে এক শিক্ষক জাতীয় সংগীত গাইতে পারেননি। তাই তার বেতন স্থগিত করতে বলেছি। আর ওই শিক্ষকের পুরো জাতীয় সংগীত গাওয়ার বিষয়টি ভিডিও করে পাঠাতে বলেছি। এ নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের প্রয়োজন নেই, এটি দাপ্তরিক কাজের অংশ। সব কিছু নিয়ে রিপোর্ট করতে হয় নাকি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা - dainik shiksha পেছালো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের মামলায় ১০ জনের কারাদণ্ড, খালাস ১১৪ শিক্ষা ভবনের সেই বিপুলকে বদলি, গ্রেফতার চান এমপিও শিক্ষকরা - dainik shiksha শিক্ষা ভবনের সেই বিপুলকে বদলি, গ্রেফতার চান এমপিও শিক্ষকরা পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতারের দাবি - dainik shiksha পলাতক ফাহিমার ক্যাশিয়ার কামালকে গ্রেফতারের দাবি দীপু মনির ক্যাশিয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব নাজমাকে বদলি - dainik shiksha দীপু মনির ক্যাশিয়ার পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব নাজমাকে বদলি ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস - dainik shiksha ঢাকা কলেজের নতুন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা - dainik shiksha রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না - dainik shiksha শিক্ষা কমিশন কেনো হলো না ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে - dainik shiksha ১৫ এলাকায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ও সবুজায়নের তথ্য আহ্বান please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0042738914489746