পুরোনো পদ্ধতিতে চলমান ভূমি জরিপ বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানালেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার সংসদে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল, ২০২৩’ পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ডিজিটাল জরিপ ছাড়া যেসব জরিপ হচ্ছে (পুরোনো পদ্ধতিতে) সমস্ত জরিপ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আজকে (গতকাল) নির্দেশনা দিয়েছি। ইতিমধ্যে যে জরিপ হয়েছে, এগুলো বাতিল হিসেবে গণ্য হবে।’ মন্ত্রীর বক্তব্য শেষে বিলটি সংসদে পাস হয়।
উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে বাংলাদেশ সার্ভে (বিএস) চলমান। এই জরিপ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। ফলে বিএস জরিপ যে অবস্থায় রয়েছে, তার কোন অংশের বা কোন পর্যায় থেকে বাতিল হবে, মন্ত্রীর বক্তব্যে তা পরিষ্কার নয়।
ভূমি জরিপে দুর্নীতি নিয়ে রবিবার সংসদে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা নানা অভিযোগ করেছিলেন। গতকালও এ নিয়ে কথা হয়। জরিপ নিয়ে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের বক্তব্যে একমত পোষণ করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছেও সাম্প্রতিক কিছু অভিযোগ এসেছে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে। এতে আমরা হাত দিয়েছি। পাইলটিং প্রকল্প নিয়েছি পটুয়াখালী ও বরগুনায়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গায় জরিপ (সনাতনী জরিপ) হচ্ছে। আমার কাছে অভিযোগ এসেছে, এমনকি আমার এলাকায়ও হচ্ছে। মানুষ চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আমি আজকেই নির্দেশনা দিয়েছি, দেশের ডিজিটাল জরিপ ছাড়া পুরোনো স্টাইলে যেসব জরিপ হচ্ছে, সমস্ত জরিপ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য এবং ইতিমধ্যে যে জরিপ হয়েছে, এগুলো বাতিল হিসেবে গণ্য হবে। কারণ এত কষ্ট করছি, যদি দুর্নামের ভাগি হয়ে থাকি, তাহলে নিরর্থক। সুতরাং যেসব জরিপ হচ্ছে, সব বন্ধ।’
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিটাল সার্ভে পর্যায়ক্রমে হবে, এগুলো আসবে। আর ইতিমধ্যে যেসব জরিপ হয়েছে, সব বাতিল। এটা আমি সংসদে দাঁড়িয়ে নিশ্চিত করতে চাই।’
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য অশান্তি কমানো, অপরাধ প্রতিরোধ করা। এ কারণে স্লোগান হচ্ছে ‘দলিল যার, জমি তার’। শক্তি যার জমি তার—এটা রোধ করার জন্য এই আইন। তাই এটা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।’