বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) দুইজনসহ তিন শিক্ষার্থীকে আটক করেছিল সিলেটের কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। গতরাতে পুলিশ রেইড দিয়ে নেহারিপাড়া এলাকার মেস থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শাবির পাঁচ শিক্ষক থানায় গিয়ে তাঁদের জিম্মায় শিক্ষার্থীদের মুক্ত করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে এবং অন্যান্য এলাকায় শিক্ষার্থীদের মেসে পুলিশের রেইড বাড়ছে। গত রাতেও বেশকিছু এলাকায় মেসে রেইড হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী নেহারী পাড়া এলাকায় রেইড হলে তিনজন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
আটক তিন শিক্ষার্থী হলেন- শাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মনির হোসেন, পুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সোহাগ এবং সিলেটের মুরারি চাঁদ কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আনাস মিয়া। পরে এই খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পাঁচ শাবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. আশরাফ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক, অধ্যাপক ড সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. খালেদুর রহমান ও অধ্যাপক ড. শাহ মো. আতিকুল হক থানায় গিয়ে তাদের জিম্মায় ছাড়িয়ে আনেন।অধ্যাপক ড. খালেদুর রহমান বলেন, আমরা সকালে জানতে পারি, ব্লক রেইড দিয়ে তিনজন শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। তখন আমরা পাঁচ সহকর্মী নিজেরা যোগাযোগ করে তাদের ছাড়াতে থানায় যাই। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো অভিযোগ দেখায়নি। তবে তারা জানায় তাদের সন্দেহ হওয়ায় আটক করেছে। পরে অবশ্য কোনো ঝামেলা ছাড়ায় শিক্ষার্থীদের আমাদের জিম্মায় দেয়।
এদিকে শাবি শিক্ষক অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের মেসে মেসে পুলিশি রেইড কেন হবে? মানুষ রাতে বাসায় ঘুমাবে, তখন তাদের রেইড দিয়ে নিয়ে যাবে, এটা তো হতে পারে না। যদি কোনো ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করে, তখন সেখান থেকে ধরতে পারে। কিন্তু এভাবে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের রেইড দিয়ে ধরবে এটার তো হয় না। আমি থানায় কথা বলেছি, পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট কোনো অভিযোগ নেই; তবে সন্দেহজনক মনে হয়েছে, তাই তাদের থানায় এনেছে। পরে পুলিশ আমাদের জিম্মায় শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দিয়েছে।