পেছাবে না ডিপিএড পরীক্ষা তবু উকিল নোটিশের নামে নেতার পকেটে কোটি টাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক |

ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) বোর্ডের প্রকাশিত চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে না। পরীক্ষা পেছানোর পক্ষে সামান্যতম যুক্তি নেই। শিক্ষা প্রশাসনের কর্তারা এসব কথা সাফ জানিয়েছেন কদিন আগেই। সাধারণ শিক্ষকরাও এটা জানেন। তবে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় ছুটি থাকায়  শুধু ওইদিনের পরীক্ষা পেছানো হবে।  এসব তথ্য জেনেও এক শ্রেণির অর্থলোভী ও নামধারী শিক্ষক নেতা উকিল নোটিশ ও রিটের নামে কোটি টাকা তুলে আইনজীবী ও নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছেন মর্মে অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষকরা।  তারা বলছেন প্রথমে  উকিল নোটিশ ও পরে রিট করা হবে। রিট করলেই রুল জারি ও পক্ষে রায় আনা যাবে শিক্ষকদের--এমন মিথ্যা আশ্বাস দেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের ৬৭ প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রায় ২০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকদের ডিপিএড সার্টিফিকেট কোর্সের চূড়ান্ত লিখিত পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা চলবে আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত।

জানতে চাইলে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ) মহাপরিচালক মো. শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে না। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। বিভিন্ন এলাকায় শুধুমাত্র ২৮ ফেব্রুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনের ছুটি থাকায় ওইদিনের পরীক্ষার পেছানো হবে।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটির মধ্যে পরীক্ষা না নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকরা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মহাপরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটির সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। দেশের সব ইনস্টিটিউট চলছে। শিক্ষকরা বললেই হবে নাকি?”

সম্প্রতি এসব জেনেও একটি নোটিশ দিয়েছেন একজন আইনজীবী। 

শিক্ষক নেতারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রশিক্ষণার্থীদের প্রস্তুতি ও আবাসন সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরলে শিক্ষা প্রশাসন থেকে জাননো হয়, ‘ঊর্ধ্বতন মহল এবং বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেই পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল দফতরকে তা অবহিত করা হয়ে গেহে। এই অবস্থায় পরীক্ষা পেছানো কঠিন। ’

প্রশিক্ষণার্থীদের পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করার জন্য অনুরোধ করে গণশিক্ষা সচিব প্রশিক্ষণার্থীদের আবাসন সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পিটিআই সুপার এবং নেপ এর মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন।

এদিকে মাছুদ নামের একজন বিতর্কিত শিক্ষক নেতা কতিপয় চিহ্নিত গণমাধ্যমে মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের কাছ থেকে বাহবা কুড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষকর ধরে ফেলেছেন শিক্ষক নেতাদের নাম যতবারই যত গণমাধ্যমে প্রকাশ হোক এসব নেতাদের গোণায় ধরেন না শিক্ষা প্রশাসনের কর্তারা। গত মঙ্গলবার ঢাকার পিটিআইয়ের এক অনুষ্ঠানে শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্তারা প্রকাশ্যে বলেছেন শিক্ষক সংগঠন বেশি হওয়ায় আলোচনা করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। 

একাধিক শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘উকিল নোটিশ ও রিটে সাকূল্যে খরচ হতে পারে ১৫ হাজার টাকা, কিন্তু কয়েকলাখ টাকা ইতিমধ্যে তুলে ফেলেছেন নামধারী নেতারা। শিক্ষকদের বলা হয়েছে, আইনজীবীদের দেয়া হবে। তবে, কোন আইনজীবীকে কত ফি দেয়া হয়েছে তা সাধারণ শিক্ষকদের জানানো হয়নি।  


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ - dainik shiksha প্রাথমিকের শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলির সুযোগ তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার - dainik shiksha তীব্র তাপপ্রবাহের ভেতরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রম ও কিছু কথা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার - dainik shiksha স্কুলে দুই শিফটের ক্লাস চালু রাখার সভা রোববার শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার আইডি ভাড়া নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাণিজ্য শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন - dainik shiksha নিষিদ্ধ, মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0025529861450195