বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২২ হাজারের বেশি শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ মাত্র ৪ হাজার ৭৩০ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে। এসব প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশকৃত প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে একমাস সময় দেয়া হয়েছে। আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত ওয়েবসাইট থেকে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র ডাউনলোড করে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচিত ৩ হাজার ৮১৯ জন ও দ্বিতীয় ধাপে সুপারিশে নির্বাচিত ৯১১ জন প্রার্থীকে যোগদান করতে বলেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রার্থীদের একমাস যোগদানের সময় দেয়া হয়েছে। তারা ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারবেন।
জানা গেছে, নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (http://ngi.teletalk.com.bd/ntrca/app/) প্রবেশ করে প্রার্থীদের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে চূড়ান্ত সুপারিশ পত্র ডাউনলোড করতে হবে।
এক প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ পত্রে বলা হয়েছে, সুপারিশকৃত প্রার্থীদের আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে যোগদান করতে হবে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো প্রার্থীকে যোগদান না করালে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রার্থীদের যোগদানের সাত দিনের মধ্যে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্ধারিত লিংকে (http://ngi.teletalk.com.bd) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে জয়েনিং স্ট্যাটাসে ‘ইয়েস’ ক্লিক করতে হবে। যোগাদান না করালে ‘নো’ ক্লিক করে কারণ উল্লেখ করতে হবে।
সর্বশেষ এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীর কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের মূল কপির সঠিকতা যাচাই করে তাদের যোগদান করাতে হবে। যাচাইয়ে প্রার্থীর সনদ যথাযথ নয় বলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে প্রমাণিত হলে তিনি তার নিয়োগ স্থগিত রেখে পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে এনটিআরসিএকে জানাবেন। চাহিদায় ভুল তথ্যের কারণে বা শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের মূল কপি যাচাই না করার কারণে বা পরে কোনো জটিলতা হলে কোনো মামলা বা আইনি জটিলতা সৃষ্টি হলে দায়-দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বহন করতে হবে। কোনো প্রার্থী আবেদনে ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিলে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ বাতিল বলে গণ্য হবে এবং প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতে এসব প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। ১৫ হাজার ১৬৩ পদে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করা প্রার্থীদের এবং ৭ হাজারের বেশি দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে যোগদান না করা পদে ১১ হাজার ৭৬৯ জন নিবন্ধিত প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করেছিলো এনটিআরসিএ। কিন্তু প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের বেশিরভাগ যোগদান করতে চাচ্ছেন না। তাই ৪ হাজার ৭৩০ জনকে চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচিত ৩ হাজার ৮১৯ জন ও দ্বিতীয় ধাপে সুপারিশে নির্বাচিত ৯১১ জন প্রার্থী চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছেন।
বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে এমপিও পদে ৩ হাজার ৪৬৩ জন এবং ননএমপিও পদে ৩৫৬ জন নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন। আর দ্বিতীয় ধাপে সুপারিশের জন্য নির্বাচিতদের মধ্যে ৭০৪ জন এমপিও পদে ও ২০৭ জন ননএমপিও পদে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির দ্বিতীয় ধাপে ১১ হাজার ৭৬৯ জন নিবন্ধিত প্রার্থী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ৪ হাজার ৭৫২ জন। আর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে যোগদান না করা পদগুলোতে দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন ৭ হাজার ১৭ জন প্রার্থী।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।