দুই দফা পেছানোর পর পুনরায় প্রকৌশল গুচ্ছের তিন বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির চতুর্থ ধাপের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে ভর্তি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। গত রোববার প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চতুর্থ ধাপের ভর্তিসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে দুই দফায় পেছানো হয় ভর্তি কার্যক্রম। প্রথম দফায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে চলমান শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির ঘোষণায় ৩ ও ৪ জুলাইয়ের ভর্তি কার্যক্রম বাতিল করে ১৪ ও ১৫ জুলাই ভর্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ জুলাই চতুর্থ ধাপের ভর্তি কার্যক্রম ও ওরিয়েন্টেশন স্থগিত করে সমন্বিত ভর্তি কমিটি।
গত ৬ জুন তৃতীয় ধাপে ভর্তির পর মেধাস্থান ও পছন্দক্রম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ নির্ধারিত তালিকা ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। তালিকা অনুযায়ী, ৩ হাজার ১১০টি আসনের বিপরীতে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৪৫ জন শিক্ষার্থী। এখনো ফাঁকা আছে ৬৫টি আসন। এর মধ্যে চুয়েটের নগর ও পরিকল্পনা অঞ্চল বিভাগে ৮টি, রুয়েটের নগর ও পরিকল্পনা অঞ্চল বিভাগে ৩৪টি, কুয়েটের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১১টি এবং নগর ও পরিকল্পনা অঞ্চল বিভাগে ১২টি আসন ফাঁকা আছে।
মেধাতালিকা অনুযায়ী গত ৮, ৯ ও ২৯ মে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। আসন পূরণ না হওয়ায় চতুর্থ ধাপে ভর্তির জন্য মেধাক্রমের ৫ হাজার ৮০১ থেকে ৬ হাজার ৫০০ পর্যন্ত ৭০০ জন শিক্ষার্থীকে ডাকা হয়। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তাঁদের নিজ নিজ ভর্তি কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিরীক্ষা কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। এদিন আসন খালি থাকা সাপেক্ষে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত উপস্থিত প্রার্থীদের ভর্তি নেওয়া হবে। তবে আসনসংখ্যার বেশি প্রার্থী উপস্থিত হলে অতিরিক্ত প্রার্থীদের নিয়ে মেধাক্রম অনুযায়ী একটি অপেক্ষমাণ তালিকা সংগ্রহ করা হবে। পরে আসন খালি হওয়া সাপেক্ষে অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের ভর্তির জন্য পর্যায়ক্রমে ডাকা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ প্রকৌশলগুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ৯৩১টি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ১ হাজার ৬৫টি এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ১ হাজার ২৩৫টি আসন রয়েছে।