কুড়িগ্রামের চিলমারীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ওই উপজেলার এক ঠিকাদার জাসদ নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কর্মবিরতি পালন করেছেন কর্মচারীরা। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা অফিস চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজুর রহমান নিজেই এর সত্যতা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত ঠিকাদারের নাম গোলাম হাবিবুর রহমান বিদ্যুৎ। তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এ জাসদ নেতা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস কার্যালয়ে একটি মিটিংয়ের সময় ঠিকাদার ও জাসদ নেতা বিদ্যুৎ অফিস কক্ষে গিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ও কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। কর্মচারীরা প্রতিবাদ করলে তিনি আরো উত্তেজিত হয়ে যান ও মারমুখি হন। বাধ্য হয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ও অন্য কর্মচারীরা প্রতিবাদে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ভুক্তভোগী উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমি অফিস স্টাফদের নিয়ে একটি জরুরি মিটিং করছিলাম। এসময় হঠাৎ করে ঠিকাদার গোলাম হাবিবুর রহমান বিদ্যুৎ একটি কাজের বিল নিয়ে আসেন এবং আমাদের ওপর হঠাৎ চড়াও হয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধান হয়েছে। ওই ঠিকাদার ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
অভিযুক্ত ঠিকাদারের সম্পর্কে এ প্রকৌশলী বলেন, ওই ঠিকাদার সবসময় অফিসের কাজে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। কাজ বুঝে নিতে চাইলে তিনি রেগে যান। কাজ বাস্তবায়নে সাইট ভিজিট করতে চাইলেও সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা করেন। তিনি সিনিয়র মানুষ বলে আমরা তেমন কিছু বলি না। তবে এবার তিনি সীমা অতিক্রম করেছেন।
তবে অভিযুক্ত ঠিকাদার ও জাসদ নেতা গোলাম হাবিবুর রহমান বিদ্যুৎ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি কোনো গালিগালাজ করিনি। আমার একটি কাজের বিলের বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও অন্যান্যরা মিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দিয়েছেন। আমি কোনো ভুল করিনি, সুতরাং ভুল স্বীকার করার প্রশ্নই ওঠে না।
চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিষয়টি শুনে উভয়পক্ষকে ডেকে সমাধান করে দিয়েছি।