সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানোসংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি সরকারের কাছে যে সুপারিশ করেছিল তার ভিত্তিতে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য একদিন সময় বেঁধে দিয়েছে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বা শর্ত সাপেক্ষে উন্মুক্তপ্রত্যাশী চাকরিপ্রার্থীরা। আগামীকাল রোববারের (২০ অক্টোবর) মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে আগামী সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় কঠোর কর্মসূচি নিয়ে ফের রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
দ্রুত প্রজ্ঞাপন ঘোষণার দাবিতে শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) কার্যালয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. রুমান কবির।
রুমান কবির বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সরকারের গঠিত কমিটি বয়স বাড়ানোর সুপারিশ করলেও এখনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি সরকার। আমরা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছেন, তাদের সুপারিশের পর প্রজ্ঞাপনের দায়িত্ব সরকারের। বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারির কথা ছিল কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। আগামী রোববারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন যদি না দেওয়া হয় তাহলে সোমবার সকাল ১১টায় কঠোর কর্মসূচিতে ঘোষণা করব।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, প্রজ্ঞাপন জারিতে দীর্ঘায়িত করা হয় তাহলে চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নেমে আসবে। ফলে স্বৈরাচারের দোসররা আন্দোলনকে ভিন্নদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করবে। তারা আমাদের ব্রেনওয়াশ করতে চাইবে। সুতারং শিক্ষার্থীদের বারবার মাঠে নামিয়ে স্বৈরাচারের দোসরদের সুযোগ করে দিবেন না। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা বর্তমানে ৩০ বছর। বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত কর্মসূচি পালন করে আসছেন আন্দোলনকারীরা কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সেই দাবি একাধিকবার নাকচ করে দেয়। শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে সেই দাবি ফের জোরালো হলে ৩০ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ এবং নারীর ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান এ বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।