প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা ও উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রতারক চক্র নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি বাণিজ্যের প্রলোভন দেখিয়ে জনগণের বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল একটি চক্র। মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও র্যাব-৩ এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর মতিঝিলের গোপীবাগ এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মো. ইবনে মিজান রনি (৫০) নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় প্রতারকের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন, তিনটি সিমকার্ড এবং প্রতারণামূলক ক্ষুদে বার্তার (এসএমএস) ৮ পাতা স্ক্রিনশট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীনা রাণী দাস বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গেল বছরের ২২ নভেম্বর আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে বহুল ব্যবহৃত জনপ্রিয় অ্যাপস এর মাধ্যমে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ স্বাক্ষরিত আনসার পদে চাকরি দেওয়ার একটি সুপারিশ পত্র পাঠানো হয়। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায়, প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় যে, ওই আবেদন পত্রটি আসলে প্রতারক মো. ইবনে মিজান রনি (৫০) প্রতারণার উদ্দেশ্যে আনসার সদর দপ্তরে পাঠায়।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে এনএসআই এবং র্যাব-৩ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টায় মতিঝিলের গোপীবাগ এলাকা থেকে ইবনে মিজানকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে র্যাব-৩ জানায়, প্রতারক ইবনে মিজান বিভিন্ন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আমলা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন চাকরিতে নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলির তদবির বাণিজ্য করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে।
সিডিএমএস রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, গ্রেফতার ইবনে মিজান একজন পেশাদার প্রতারক। প্রতারণা ও অন্যান্য অপরাধের দায়ে তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলা বিচারাধীন আছে।
র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল কবির জানান, প্রতারক মো. ইবনে মিজান রনির নামে মতিঝিল থানায় মামলা (নং ৩৬) করা হয়েছে।