প্রতিমার পরচুলা তৈরি করে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান প্রধান যে গ্রাম

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব হলেও দেব-দেবীর কেশসজ্জার জন্য পরচুলা তৈরির করেন পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার কুলাই গ্রামের শেখপাড়ার মুসলমান বাসিন্দারা। বহু যুগ ধরে বংশপরম্পরায় তারা এই কাজ করছেন।

মুসলিম প্রধান এই গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দাই পরচুলা তৈরির সঙ্গে যুক্ত।

দুর্গাপুজোর সময় তো ব্যস্ততা থাকেই, পাশাপাশি সারা বছর বিভিন্ন মন্দিরে বিগ্রহের জন্য চুল সরবরাহ করেন গ্রামের বাসিন্দারা। পাশাপাশি চামরও তৈরি করেন তারা।

তাদেরই একজন মালেকা বেগম। তার রোজনামচা বাঁধা, সকাল থেকেই একদিকে বাড়ির কাজ সামলানো আর অন্যদিকে স্বামী আর ছেলের সঙ্গে কাজে হাত লাগানো।

“৩২ বছর হলো বিয়ে হয়ে এসেছি এই বাড়িতে। তখন থেকেই ঠাকুরের (দেব-দেবীর বিগ্রহের) জন্য চুল আর চামর বানানোর কাজ শুরু করেছি। আমার শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামীর সঙ্গে কাজ করতাম। এখন তো ছেলে, ছেলের বউও আমাদের সঙ্গে কাজ করে,” বলেছিলেন মালেকা বেগম।

বারান্দার এক পাশে কাজ করে চলেছেন তার স্বামী এব্রাহিম মল্লিক। বললেন, “এই মরশুমে পরপর অনেক কাজের অর্ডার আসে। কিছুদিন আগেই জন্মাষ্টমীর জন্য গোপাল আর রাধারানির চুলের অর্ডার ছিল। তারপর পুজোর (দুর্গা পুজো) অর্ডার। এই ব্যস্ততা এখন চলবে।”

পাশের একটা ছোট ঘরে তার ছোট ছেলে মণিরুল মল্লিক এক মনে চামর তৈরির কাজ করে চলেছেন। মাঝে মাঝে এই কথোপকথনে যোগ দিচ্ছিলেন।

তিনি বলছিলেন তাদের কাজ কীভাবে দিল্লি, মুম্বাই, রাজস্থানে যায়। তাদের কাজের সুনামের কথাও। বড় ছেলে বাজারে গিয়েছেন দুর্গা পুজোর অর্ডারের কাজ দোকানে পৌঁছে দিতে।

গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত রুস্তম আলি ছিলেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী। কুলাইয়ে পরচুলা শিল্প যাদের হাত ধরে বিকশিত হয়েছে, প্রয়াত এই শিল্পী তাদের মধ্যে অন্যতম।

তার ছেলে শেখ মেহরাজ আলী জানিয়েছেন, প্রায় গোটা বছরই হিন্দু দেব-দেবীর জন্য কৃত্রিম কেশ তৈরির বায়না আসে।

“এক একটা মরশুমে এক ধরনের অর্ডার আসে। দুর্গা পুজোর আগে একটা মাস দেবীর পরচুলার কাজ হয়। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ছত্তিশগড়, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশে দেব-দেবীদের চুল যায়। তার আগে জন্মাষ্টমীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমাদের অর্ডার থাকে। কালী পুজোয় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বাইরে থেকে অর্ডার আসে,” বলেছিলেন তিনি।

শেখ মেহরাজ আলী জানিয়েছেন, কুলাই গ্রামের শেখ পাড়ার বাসিন্দাদের সিংহভাগই পরচুলা তৈরি করেন।

মুসলিম প্রধান এই অঞ্চলে কাঁচা-পাকা মিলিয়ে প্রায় ৪০০র কাছাকাছি বাড়ি। গ্রামের কমপক্ষে ২৫০টা পরিবার সরাসরি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত।

পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুরসহ একাধিক জেলাতে দেব-দেবীর পরচুলা তৈরি হয়।

“কুলাই গ্রামে মুসলমান শিল্পীরা হিন্দু দেব-দেবীদের জন্য পরচুলা তৈরি করেন। এই সম্প্রীতি মানুষের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। মুসলমান শিল্পীরা যেভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে এই কাজ করেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এটাই কুলাইকে অন্য জায়গাগুলোর চেয়ে আলাদা করে। রুস্তম আলী রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পাওয়াও কুলাইকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে,” বলেছেন হাওড়ার বাসিন্দা সৌম্য গাঙ্গুলি।


‘বংশ পরম্পরায় এটাই আমাদের পেশা’
একসময় মূলত যাত্রাপালা এবং নাটকের জন্য পরচুলা তৈরি করতেন গ্রামের বাসিন্দারা। তবে গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এদের অনেকেই শুধুমাত্র হিন্দু দেব-দেবীদের বিগ্রহের জন্য চুল তৈরি করেন। দেব-দেবীর বিগ্রহের কেশসজ্জা নিখুঁত করে তোলাই তাদের কাজ।

“বাবা ঠাকুরের চুল তৈরি করতেন। তার কাছ থেকেই কাজ শিখেছি। উনি শিখিয়েছিলেন কীভাবে নিখুঁত করে সাজিয়ে তুলতে হয় গোপাল আর রাধারানির চুল। বিভিন্ন মাপের মূর্তির চুল তৈরি করতে হয়। তার ধরন আর সাজও আলাদা আলাদা,” বলছিলেন এব্রাহিম শেখ।

“আমি ৫০ বছর ধরে ঠাকুরের চুল বানাই। আমার ছেলেরাও একই কাজ করে। এটা বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। এই গ্রামের ঘরে ঘরে লোকেরা একই কাজ করে, উঁকি দিলেই দেখতে পাবেন।”

হাওড়ার পাঁচলা থানার অন্তর্গত কুলাইয়ের শেখপাড়ার অধিকাংশ বাসিন্দারাই বেশ কয়েক প্রজন্ম ধরে এই কাজ করে এসেছেন।

তিন প্রজন্ম ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত মেজাফ্ফর শেখের পরিবার। তিনি বলেছিলেন, “এটা আমাদের খানদানি কাজ। আমার বাবা হামিদ শেখ,দাদা খোদাবক্ত দুজনেই পরচুলা বানাতেন। নামকরা শিল্পী ছিলেন তারা। এখন আমি বানাই। তবে, গত বাইশ-তেইশ বছর ধরে শুধু ঠাকুরের চুলই বানাই।”

“আগে ঠাকুরের চুলের পাশাপাশি যাত্রাপালা আর নাটকের জন্যও পরচুলা তৈরি হতো। এখন তো যাত্রা তেমন হয় না। লকডাউনের পর থেকে নাটকের জন্য পরচুলার অর্ডারও আগের চেয়ে কম পাই। তাই পুরোটাই ঠাকুরের চুল তৈরির উপর নির্ভর করতে হয়।”


মথুরা, বৃন্দাবন, হরিদ্বার, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং ওড়িশা থেকে সবচেয়ে বেশি রাধা আর কৃষ্ণের কেশসজ্জার কাজের বায়না আসে বলে তিনি জানিয়েছেন।

রুস্তম আলীর মেয়ে রমিশা বেগম বেশ গর্বের সুরেই বললেন, “এই পেশা আমাদের বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। বাবা নাম করা শিল্পী ছিলেন। ওকে দেখেই গ্রামের বহু ছেলে এই কাজকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছে। বাবার হাত ধরে অনেকে নিজের ব্যবসাও শুরু করেছে।”

রমিশা বেগমের ভাই এবং তাদের পরের প্রজন্ম এখন সেই পরম্পরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “বাবার মৃত্যুর পর এখন আমার ভাই আর তাদের ছেলেরা এই কাজ করছে। সারাটা বছরই কাজ থাকে তবে জন্মাষ্টমী আর পুজোর (দুর্গা পুজো) সময় সবচেয়ে বেশি কাজ আসে।”

বাড়ির বাইরে দাওয়ায় বসেছিলেন শেখ জাকির আলী।

তার কথায়, “দুর্গা পুজোর জন্য পরচুলার অর্ডার আসে মূলত জুলাই-আগস্ট মাস থেকে। মহালয়ার আগেই বেশিরভাগ অর্ডারের কাজ শেষ করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের বাইরের অর্ডার হলে আরও একটু আগে কাজ শেষ করি আমরা।”


সম্প্রীতির বার্তা
মুসলিম প্রধান এই গ্রাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটা বড় উদাহরণ।

মেজাফ্ফর শেখের কথায়, “আমরা দেবতা ভেবে কাজ করি। আমার কাছে যেমন আমার দেবতা, যার জন্য কাজ করছি তারও দেবতা। দেব-দেবীর মাথায় চড়ানো হবে যে চুল, সেই কাজ আমরা সম্মানের সঙ্গে করি। সাফসুতরো হয়ে তবে কাজে বসি।”

“আমার বাপ-দাদার আমল থেকে হিন্দু-মুসলমানদের একসঙ্গে দেখে এসেছি। এখনও তাই-ই হচ্ছে…মুসলমানরা দুর্গা ঠাকুরের চুল বানাচ্ছে, জরি দিয়ে শাড়ি বানাচ্ছে। আর সেটা তো আজ থেকে না, আমার বাবা-দাদার সময় থেকে হচ্ছে।”

তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা, “আমাদের মধ্যে ধর্ম নিয়ে বাছাবাছি নেই। জাতধর্ম নিয়ে রাজনীতিকরাই কাজ করে। আমরা করি না।”

“প্রয়াত শিল্পী রুস্তম আলী সবসময় সম্প্রীতির বার্তা দিতেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন, এখানে হিন্দু-মুসলিম নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তিনি এই পেশাকে সম্মান জানিয়েই পরচুলা তৈরি করেন। কুলাইয়ে এখন যে শিল্পীরা আছেন, তাঁরাও হিন্দু দেব-দেবীর প্রতি সম্মান জানিয়েই কাজ করেন,” বলেছেন সৌম্য গাঙ্গুলি।

কীভাবে হয় এই কাজ?
সাধারণত পাট বা নাইলনের সুতো দিয়ে বিগ্রহের জন্য চুল তৈরি হয়। তবে কুলাই গ্রামে মূলত পরচুলা তৈরি হয় নাইলনের সুতো দিয়ে। প্রথমে সেগুলো ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নেওয়া হয়। এরপর গুছিয়ে নিয়ে বিনুনি করা হয়। তারপর চুল তৈরির চূড়ান্ত কাজ করা হয়।

পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। বিনুনি পাকানোর কাজ মূলত নারীরাই করেন। এটাই পরচুলা তৈরির ক্ষেত্রে আসল কাজ।

কাঁচা মাল হয় সাধ্য মতো শিল্পীরা নিজেরা কিনে আনেন, বা বাড়ি এসে জোগান দিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা। অর্ডারের ক্ষেত্রেও তাই।

আগে ডাকযোগের মাধ্যমে পরচুলা, চামর পাঠানো হতো। এখন হোলসেলার বা পাইকারি বিক্রেতারা বাড়ি এসে নিয়ে যান অথবা শিল্পীদের সঙ্গে কর্মরত কারিগরদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেরাই পৌঁছে দেন।


কী বলছে নতুন প্রজন্ম?
লকডাউনের প্রভাব এই শিল্পেও পড়েছে। মেজাফ্ফর শেখে বলেন, “লকডাউনের সময় অনেকদিন কাজ ছিল না। আমাদের আর পুঁজি কোথায়? খুব কষ্টে কাটিয়েছি। আরও একটা বিষয় হলো বাংলায় এই কাজের দাম পাই না। রাজ্যের বাইরে তবু দাম একটু ভাল।”

একই কথা জানিয়েছেন এব্রাহিম মল্লিক। তিনি বলেন, “ঠাকুরের চুল আর চামর বিভিন্ন সাইজের হয়। সাইজের উপর নির্ভর করে ৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা অব্দি চুলের মূল্য পাই। আর চামরের সাইজ এবং হ্যান্ডেলের উপর নির্ভর করেভ ৩৫ টাকা থেকে ২৫০ টাকা অব্দি দাম পাই।”

“অসুবিধা হয় না তা বলব না, কিন্তু পেট চলে যায়। খোদার মেহেরবানিতে একটু বুঝে সুঝে চললে সংসার চালিয়ে দেওয়া যায়।

লকডাউনে ব্যবসা খুব মার খেয়েছে। এখন তার চেয়ে পরিস্থিতি ভাল,”তিনি বলেন।

বাসিন্দাদের কেউ কেউ আবার উদ্বিগ্ন নতুন প্রজন্ম এই শিল্পকে কী তাদের পেশা করবে?

রমিশা বেগমের ইচ্ছা, ইংরেজি মাধ্যমে পড়া নাতিও এই একই পেশা বেছে নিক। যাতে বংশ পরম্পরায় চলে আসা এই শিল্প থমকে না যায়।

এই এলাকার একটা ঘরে দুই প্রজন্মের দুই কারিগর চামর তৈরির কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে একজন বছর ষোলোর শেখ আজিম। তার কথায়, “আমি অভাবের জন্য লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছি। গত চার বছর চামর বানানোর কাজ করছি। আমার ভালোই লাগে এই কাজ করতে।”

কুড়ির কোঠায় থাকা মণিরুল মল্লিকও কিন্তু নিজের পেশাতেই খুশি। কাজের ফাঁকে মোবাইলে হিন্দি সিরিয়াল দেখতে ভালবাসেন তিনি।

“বাবা-দাদা যে কাজ করে এসেছেন, আমিও সেই কাজই করতে চাই। আমার ইচ্ছে অন্য রাজ্যে আরও বেশি করে কাজ পৌঁছে দেওয়ার যাতে সবাই কুলাইয়ের কথা জানতে পারে,” তিনি বলেছিলেন।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024068355560303